ভূমি বিরোধে জেরে নারীকে পিটিয়ে যখম করেছে দখলদাররা

337

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটি জেলা শহরের পুলিশ হাসপাতাল এলাকায় জায়গা সংক্রান্ত ঘটনার জেরে মঞ্জু ধর নামের এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। সে বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টায় এ ঘটনাটি ঘটে। এবিষয়ে মঞ্জু ধরের স্বামী সন্তোষ ধর জানান, সকালে হঠাৎ করেই তার পার্শ্ববর্তী বাসার বাসিন্দা বাবুল শিকদার, তার ছেলে নাঈম সিকদার, মেয়ের জামাই খোকন, সেলিম ভান্ডারী, মেয়ে তানিয়া, আমেনা স্ত্রী পরী বানু লাঠিসোটা নিয়ে আমার জায়গায় প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে লাথি, ঘুষি মারাসহ পেটাতে শুরু করে আমার স্ত্রী তাদেরকে ঠেকাতে আসলে বাবুল সিকদারের মেয়ে ও স্ত্রী আমার স্ত্রী মঞ্জু ধরকে মারধর শুরু করে একপর্যায়ে নাঈম সিকদার লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা এসে আমার স্ত্রী ও আমাকে উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। আমার স্ত্রীর মাথায় ৯টি সেলাই দিতে হয়েছে। সে বর্তমানে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। সন্তোষ ধর আরো জানান- আমার প্রতিবেশী বাবুল শিকদার তার সম্পূর্ণ জায়গাতেই বাড়ি নির্মাণ করেছে। সে আমার খালি জায়গা জোরপূর্বক ভোগ দখলের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধামকি নির্যাতন করে যাচ্ছে। আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হওয়ার তেমন কারো সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি না। সন্তোষ ধর ৩নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে তিনি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। এবিষয়ে তিনি রাঙামাটি কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এদিকে বাবুল শিকদার ঘটনাটি অস্বীকার করেন। পুলিশ হাসপাতাল এলাকা সমাজ কমিটির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এবিষয়ে জানান আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা আহত সন্তোষ ধরের স্ত্রী মঞ্জু ধরকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে দেখে এসেছি। কমিটির পক্ষ থেকে আমরা তদন্ত করছি। রোগী সুস্থ হলে সমাজ কমিটির পক্ষ থেকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে রাঙামাটি কোতয়ালি থানার এসআই রফিক জানান- উভয় পরিবারই অভিযোগ দাখিল করেছে। আমরা যতদূর জানতে পেরেছি দু-পক্ষই সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সমঝোতা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।