॥ সৌরভ দে ॥
রাঙামাটিতে “এইচ এইচ এইচ টেলিমেডিসিন” কোম্পানীর কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা। কোম্পানীটির বিরুদ্ধে ভূয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রশিক্ষণের নাম করে রাঙামাটির ১০ উপজেলা হতে শ’খানেক নারী-পুরুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এই ব্যাপারে দৈনিক রাঙামাটিতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দৃষ্টি গোচর হয়।
সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, সংবাদটি আমার নজরে আসার পর আমি এই কোম্পানীর রাঙামাটির কো-অর্ডিনেটর আবদুল করিমের সাথে যোগাযোগ করি। এইসময় তার দেওয়া বিভিন্ন কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখি ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি অনুমতি পত্র নিয়ে তারা ২০২০ সালে কার্যক্রম চালাচ্ছে। তার উপর রাঙামাটিতে এই কোম্পানী কাজ শুরুর জন্য আমার কাছ থেকে কোন রকম অনুমতিও নেয়নি। তাই আমি করিমকে জানিয়েছি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রাঙামাটিতে এই কোম্পানীর সকল কার্যক্রম যেন বন্ধ রাখা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রত্যকে প্রার্থী থেকে ৮ হাজার টাকা নিয়ে যে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে তাতে আমার কোন কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল না তাই এই ট্রেনিং এর কার্যকারিতা নিয়ে আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। আমি এই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখবো এবং চিঠির জবাব পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেবো।
এদিকে “এইচ এইচ এইচ টেলিমেডিসিন” কোম্পানীর রাঙামাটি কো অর্ডিনেটর আবদুল করিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি রাঙামাটির বাইরে আছেন জানিয়ে পরবর্তিতে যোগাযোগ করবেন বললেও যোগাযোগ করেননি।
প্রসঙ্গত, “এইচ এইচ এইচ টেলিমেডিসিন” কোম্পানীটির বিরুদ্ধে রাঙামাটির ১০ উপজেলা হতে প্রায় শ’খানেক চাকরি প্রার্থী হতে ট্রেনিং এর নাম করে কয়েক লক্ষ্ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।এছাড়াও রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নাম বিক্রি করে সরকারি ডাক্তারি সার্টিফিকেটেরও প্রলোভন দেখায় কোম্পানীটি। এই ব্যাপারে দৈনিক রাঙামাটিতে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিষয়টি জেলার আইন-শৃংখলা সভার আলোচনাতেও উঠে আসে। এর পরপরই জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ রাঙামাটিতে এই কোম্পানীর কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।