বুধবার বিকেলে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন তদন্ত প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এর হাতে তুলে দেন।
এসময় রাঙামাটি জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ভবন ধ্বসের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় রেখে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, যে স্থানে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে তা একেবারে ঢালু জায়গা। নির্মিত ভবনের জায়গার কোন কাগজপত্র নেই। এটি সরকারি খাস জায়গা।
ভবন নির্মাণে কোন ধরনের অনুমোদিত নকশা গ্রহণ না করে মালিক তার ইচ্ছানুযায়ী এ ভবনটি তৈরি করে। জলমহালে ঢালু জায়গায় ভরাট করা মাটি পানির কারণে নরম হয়ে যাওয়ায় মাটি তার ভার বহন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। যার ফলে ভবনটি ধ্বসে পড়ে এবং পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কিছু সুপারিশমালা পেশ করা হয়। এরমধ্যে ভবনের মালিক আবু তৈয়ব এবং কেয়ারটেকার মাঈনুদ্দিন টিটু ভবন রক্ষনাবেক্ষন না করায় সমান দোষে সাব্যস্ত করে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের সোপর্দ করেন।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে মালিকের নিকট হতে ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থার গ্রহণ। তাছাড়া অনুমোদনবিহীন ঝুকিপূর্ণ যেসব ঘরবাড়ি রয়েছে তা চিহ্নিত করে তালিকা প্রনয়ন করে অবৈধগুলোকে উচ্ছেদ করা ও বৈধগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্মানের ব্যবস্থা করা।
এছাড়াও যারা ঝুকিপূর্ণ স্থানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জায়গা দখল করে ভাড়া দিয়ে লাভবান হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টায় রাঙামাটি মহিলা কলেজ এলাকায় একটি দ্বিতল ভবন ধ্বসে ৫জন নিহত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবন ধ্বসের কারণ সম্পর্কে অবহিত করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
[সুপারিশসমূহ : ভবন মালিক আবু তৈয়ব ও কেয়ারটেকার মাইনুদ্দিন টিটুকে দোষী সাব্যস্ত * ওই দুজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ *ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি ক্ষতিপূরণ প্রদানের সুপারিশ]