॥ আলমগীর মানিক ॥
কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হওয়ার পর প্রথম দিনেই ১২৫ টন মাছ শিকার করেছে জেলেরা। এই মাছের বিপরীতে বিএফডিসি রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ২১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। চার মাস বন্ধ থাকার পর বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর ২০২১) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হয়। নব উদ্যোমে পানিতে নামে হ্রদের মৎস্য সম্পদের উপর নির্ভরশীল ২৫ হাজারের অধিক জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী ও মৎস্য শ্রমিক। এবারে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এখনও হ্রদের পানির গভিরতা কাক্সক্ষীত পর্যায়ে পৌঁছেনি, এই সুবাদে মাছ আহরণে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে জেলেরা।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, প্রথমদিনেই হ্রদ থেকে ১২৫টন মাছ আহরণ হয়েছে, আর এতে প্রতি কেজি মাছে সাড়ে সতেরো টাকা হারে প্রায় ২১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম দিনে রাঙামাটি, কাপ্তাই ও মহালছড়ি তিন অবতরণ ঘাটেই আশানুরূপ রাজস্ব আদায় হয়েছে।
বিএফডিসি সূত্রে জানাগেছে, গত বছর কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণের প্রথমদিনে তিনটি ঘাটে ১২৮ মে. টন মৎস্য অবতরণ করা হয়। যা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছি প্রায় ২২ লাখ টাকা। ডেপুটি ম্যানেজার জাহিদুল ইসলাম লিখন জানিয়েছেন, পানি কম থাকার কারণে আমরা জেলেদের বেশি পরিমানে মাছ আহরণে নিরুৎসাহিত করেছি; এখন মাছ তুলনামুলক ছোট। সহনশীল মাত্রায় আহরণ করা হলে মাছ বড় হবে এবং সারাবছরই জেলেরা কাক্সক্ষীত পর্যায়ে মাছ পাবে। এ কারণেই গত বছর প্রথম দিনের তুলনায় রাজস্ব আহরণে সামান্য হেরফের রয়েছে।
