॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
সমগ্র জাতি যখন স্বাধীনতার সুমহান চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল- পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীরাও আন্দোলনের শরীক হয়েছিল সেদিন বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। অবিভক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলা সদর রাঙামাটি জাতীয় রাজনীতির মূল স্রোতধারার সঙ্গে সম্পূণরূপে একাট্টা হয়ে গিয়েছিল। এখানকার বাঙালীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাহাড়ি উপজাতীয়রাও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শুরু থেকেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। সেদিন পার্বত্য জেলার মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। কিন্তু সে সময়ে একটি সময় এসে কুচক্রী মহল পার্বত্য চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু সকল সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার কারণে তারা সফল হতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাঙামাটিপার্বত্য জেলা পরিষদ এনেক্স ভবনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও রাঙামাটিজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র মোঃ আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ জাহিদ আকতার, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা রাঙ্গামাটির সভাপতি সাংবাদিক মনসুর আহম্মেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ইকবাল হোসেন চৌধুরী, জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ আবুল কাশেম, ওয়ান বাংলাদেশ রাঙামাটি সভাপতি টুকু তালুকদার, এডভোকেট মামুন ভুইয়া, রাঙামাটিকলেজের প্রতিনিধি অর্ণব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব-বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি শহীদুজ্জামান পাপ্পু, রাঙামাটিসরকারী কলেজের প্রতিনিধি মোঃ হাসান মুরাদ প্রমূখ।