মোহর আদায় সহজ করলো ইসলামী ব্যাংক

429

 

স্টাফ রিপোর্ট- ৭ অক্টোবর ২০১৭, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি):  মোহর স্ত্রীর মৌলিক অধিকার। ইসলামী শরী’আহ অনুযায়ী নারীর এ অধিকার আদায়কে সহজতর করতে ইসলামী ব্যাংক চালু করেছে মুদারাবা মোহর সঞ্চয় প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরুষেরা সুবিধামত কিস্তিতে নির্ধারিত টাকা জমা করে স্ত্রীর অধিকার ও পাওনা পরিশোধ করতে পারেন। এর মাধ্যমে সমাজে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় পাশাপাশি নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ অনন্য।

নিছক ব্যাংকিং ব্যবসার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজের সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করাই ইসলামী ব্যাংকের লক্ষ্য। সমাজ ও মানুষের কল্যাণ হয় এমন প্রতিটি কাজে অংশগ্রহন করতে কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক। “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় কিছু অংশ মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পারো। সুরা আন নিসা”  আল-কুরআনের এ নির্দেশনার সফল পরিপালন সকলের নিকট সহজ করতেই ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকুরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসীগণ তাদের সামর্র্থ্য অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাবের পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, ইতোমধ্যে আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক কিস্তির হার নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/নাগরিকত্ব সনদপত্রের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির ১ কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখায় এ একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তির টাকা মাসের যে কোন দিন যেকোন স্থান থেকে আই-ব্যাংকিং, এমক্যাশ অথবা যে কোন শাখার মাধ্যমে জমা দেয়া যাবে। চাইলে গ্রাহক কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারবেন। এই একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। এছাড়া এ প্রকল্পে রয়েছে আকর্ষণীয় মুনাফা প্রাপ্তির সুযোগ।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। তার সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।