রাঙামাটিতে অগ্নি দুর্ঘটনায় তিন মাসে ক্ষতি অর্ধকোটি নিহত ৩

875

OLYMPUS DIGITAL CAMERA

স্টাফ রিপোর্টার, ১৯ নভেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : রাঙামাটিতে পালিত হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ। গত ১১ নভেম্বর হতে শুরু হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ। শহরের কাঠালতলী এলাকার কার্যালয়ে দিনব্যাপী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গত ১১ নভেম্বর অত্র কার্যালয়ে মালটি মিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় পর্দায় প্রধান মন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান প্রদর্শন, আলোচনা ও মহড়া অনুষ্ঠান দেখানো হয়। এরপর ফায়ার স্টেশন কার্যালয় হতে রিজার্ব বাজার ডিসি বাংলো, তবলছড়ি মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি হতে আবার অত্র কার্যালয় পর্যন্ত যান্ত্রিক র‌্যালী প্রদর্শিত হয়। তথ্য অফিসের মাইক যোগে জনসচেতনতার বৃদ্ধির জন্য অগ্নি প্রতিরোধ সম্পকর্কে  প্রচারাভিযান চালানো হয়।

গত ১২ নভেম্বর শহরের রাণী দয়াময়ী বিদ্যালয়, আল-আমিন মাদ্রাসা, হোটেল আল-মোবা ও গ্রীণ ক্যাসেল হোটেলে  আলোচনা সভা,অগ্নি প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা সভা এবং শহরের ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও মহড়া পরিচালিত হয়। গত ১৪ নভেম্বর মোজাদ্দেদ-ই আল ফেসানী একাডেমী,বেইন টেক্স্রটাইল, হোটেল সুফিয়া এবং পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স্রে অগ্নি প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনা সভা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। ১৬ নভেম্বর অগ্নি নির্বাপন কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জমাদি উন্মুক্ত পরিদর্শন এবং শাহ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে অগ্নি প্রতিরোধে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এরপর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাঙামাটি জেলার সহকারী পরিচালক গোলাম মোস্তফাকে এ বছর অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়ায় তিনি জানান, জানুয়ারী হতে অক্টোবর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গায় ৪৩টি অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয় এবং ৭৭ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকার মালামাল ও সম্পদ বিনষ্ট হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা উদ্ধার করেছে ২কোটি ৩২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা।

এ বছর আগুনে পুঁড়ে  নিহত ১, পনিতে ডুবে নিহত ১ এবং সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয় ১জন। ফায়ার সার্ভিসের নানাবিধি সমস্যা আছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অত্র সংস্থায় কর্মচারী  গাড়ি কিংবা পাম্প মেশিনের সমস্যা নাই। মূল সমস্য হলো রাঙামাটি জেলা অন্যতম বৃহত্তর জেলা। এই জেলার শহর ছোট হলেও জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলোতে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হলো নৌ-পথ। আগুন কিংবা কোন দূর্ঘটনা হলে যথাসময়ে পৌছা যায় না। কারণ আমাদের এখানে কোন নৌ-ফায়ার স্টেশন নাই। নৌ-ফায়ার স্টেশন না থকার কারণে উপজেলা গুলোতে আগুন কিংবা দূর্ঘটনা ঘটলে যথাসময়ে পৌছানো যায় না। নৌ-ফায়ার স্টেশন নির্মাণে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করার ব্যপারে জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি জানান, আমরা বিগত এপ্রিল মাসে জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসককে এ ব্যাপারে অবগত করেছি এবং স্থানীয় সাংসদ ঊষাতন তালুকদারকে দরখাস্তের মাধ্যমে অবগত করেছি এ জেলায় যেন অতিসত্তর একটি নৌ-ফায়ার স্টেশন স্থাপন করানো হয়। তাহলে দূর্ঘটনায় কবলিত এলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমানো যাবে এবং আমাদের আরেকটি দীর্ঘদিনের দাবি, এ জেলার ফায়ার স্টেশনে ডুবুরি নাই। তাই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় সংসদ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি বিশেষ অনুরোধ  জানিয়ে বলেন, এ ডিপার্টমেন্টে অতিসত্তর ডুবুরি কর্মচারী ব্যবস্থা করার।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান