মেহেদী ইমাম
রাঙামাটিতে ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যাকালে এক দম্পতিকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১শে জুলাই) রাত ৮টায় জেলার দোয়েল চত্বর সংলগ্ন ৫তলা ভবনের চারতলা থেকে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রাঙ্গুনিয়ার বাসিন্দা উক্ত দম্পতি। আত্মহত্যা করতে যাওয়া ওমর ফারুক (২৪) রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নের পূর্ব গোয়াছ পাড়া এলাকার মো. আজিজুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে রহিমা বেগম (২৪) (ছদ্মনাম) একই উপজেলার ধামাইরহাটের সোনারগাঁও এলাকার বাসিন্দা। এবিষয়ে রহিমার(ছদ্মনাম) সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘাগড়া খিলমোঘলখিলমোঘল এলাকার মো. সুমন নামের এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। ওই সংসারে তার ৮বছরের একটি ছেলে ও ৪বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। বিয়ে পরবর্তি সময়ে সুমন বিদেশ গমন করে এবং অন্য এক মেয়ের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। সে রহিমার সাথে তেমন যোগাযোগ রাখত না। পরে সে দেশে এসেও তার সাথে সুসম্পর্ক রাখেনি। এর মাঝে রহিমা ওমর ফারুকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে সে আদালতের মাধ্যমে সুমনকে ডিভোর্স দেয় এবং ওমর ফারুকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে রাঙামাটি দোয়েল চত্বর এলাকায় বসবাস শুরু করে।
এদিকে খবর পেয়ে সুমন রহিমাকে খুজতে এলে সে ও ফারুক ভবনের পেছনে পালিয়ে থাকে। পরে সুমন তাদেরকে ওখানে দেখতে পেয়ে ধরার চেষ্টা করলে লাফিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এঘটনায় ভবনের পেছনে তাদেরকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ১ঘন্টার শ্বাসরুদ্ধ অভিযানে ওই দম্পতি উদ্ধার হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাঙামাটি কতোয়ালী থানার ওসি মো. কবির হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ১ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে আমরা তাদের ২জনকেই উদ্ধার করতে সক্ষম হই। রাতে আমরা তাদেরকে পুলিশি হেফাজতে রাখব। আগামীকাল তাদেরকে পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হবে।
জানতে চাইলে ওমর ফারুক জানায়, আমি রহিমাকে(ছদ্মনাম) বিয়ে করেছি। তার সাথেই সংসার করতে চাই।তার আগের স্বামী আমাদেরকে খুঁজছে। সে আগে থেকে আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা উভয়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা বাংলাদেশ পুলিশের সাহায্য চাই।