স্টাফ রিপোর্টার
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ও আয়োজনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী ও চাঙ্গা করার লক্ষে এক তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলন ঘিরে সাজ সাজ রব গোটা সম্মেলন স্থল। এরই মধ্যে সাজানো হয়েছে মাঠ প্রাঙ্গণ। প্রস্তুত হয়েছে মঞ্চ। সৌন্দর্য বর্ধনের কাজও শেষ হয়েছে। রবিবার (২৪সেপ্টেম্বর) শহরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইন্সটিটিউট মাঠ প্রাঙ্গনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এতে ১০টি উপজেলা ও ১২টি থানার আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। জানা যায়, সম্মেলন স্থলে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর জনসমাগম হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। এতে উপস্থিত থাকবেন, আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ।
তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াশিকা আয়শা খান এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম আমিনসহ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌর ও জেলা প্রতিনিধিবৃন্দরা বক্তব্য রাখবেন।
এতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সংসদের সদস্য ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জুড়ে সঞ্চালনায় থাকবেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ ছাড়া জয় পাওয়া কঠিন হবে। আবার বিএনপি ভোট ঠেকাতে চাইলে সে ক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগের মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন। ফলে রাজপথ ও ভোটের মাঠে দুটোতেই জয় চাইলে দলকে অতীতের চেয়ে এখন আরও বেশি সংগঠিত হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য মাঠের নেতাদের উজ্জীবিত করতে তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর জানান, আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে শহরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে এই তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেরা অংশ নেবেন। আরও থাকবেন সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। রাঙামাটি জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানরা, পৌরসভার দলীয় মেয়ররাও এতে অংশ নেবেন। সব মিলিয়ে সম্মেলন স্থলে প্রায় ৫ থেকে ৭হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত দলের কর্মসূচিগুলো কীভাবে পালন করা হবে, তা নিয়েও কথা হবে। জাতীয় নির্বাচনে কোন্দল ভুলে একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেবেন দলীয় কেন্দ্রীয় নেতারা। এই প্রতিনিধি সম্মেলনের পর দলের নেতাদের মনোবল আরও চাঙা হবে বলে তিনি মনে করেন তিনি।
পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্রধারী রয়েছে ও অস্ত্রেও ব্যবহার রয়েছে জানিয়ে তিনি সর্বশেষ বলেন, অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারন জনগণকে বার্তার মাধ্যমে স্বোচ্ছার করা হবে। পাশাপাশি তিনি পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।