॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
একুশ মানে মাথা নত না করা’এই শ্লোগানে পার্বত্য জেলা শহর রাঙামাটিতে টানা উনিশ বছরের ধারাবাহিকতায় এই বছরও স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণলিখন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
মঙ্গলবার সকালে শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে বিজয়ী ১২০ জনের হাতের পুরস্কারের ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণ করেন শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা ও গৌরিকা চাকমা,উন্নয়নকর্মী ও উদ্যোক্তা সাগরিকা রোয়াজা,উদীচী সভাপতি ও সচেতন নাগরিক কমিটির নেতা অমলেন্দু হাওলাদার,কবি হাসান মঞ্জু,চিত্রশিল্পী রেজাউল করিম ও মোঃ ইব্রাহীম।
এ সময় বক্তব্য রাখেন,গ্লোবাল ভিলেজের পরিচালক সৈয়দ হেফাজত উল বারি সবুজ,আবৃত্তি সংগঠন ‘আফ্রোদিতি’র সংগঠক সাইফুল হাসান, ‘শুভসংঘ’র সভাপতি মং চিং চৌধুরী, বিতর্ক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ডিবেট ফেডারেশন এর সংগঠক তুষার ধর এবং দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পাদক ফজলে এলাহী।
অতিথিরা এই আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘চারদিকে যখন ঘনায়মান দুঃসময় সেইসময়েও এমনতর সুন্দর আয়োজনগুলো আশাবাদ জাগায়। স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে এইসব উদ্যোগগুলোই মানবিক বোধ ও মননকে শক্তিশালী করবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরেণ্য শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা বলেন,‘আমি আশাবাদি হয়েছি এই আয়োজন দেখে। আমার মনে হয় এখনো সবকিছু নষ্টদের দখলে যায়নি। এখনো শাশ্বত সুন্দর কিছু রয়ে গেছে,যা আগামীর পথচলায় আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।’
কর্মসূচীর আয়োজকদের একজন মং চিং চৌধুরী বলেন,‘আমাদের বড়ভাইয়ারা ১৯ বছর আগে যে স্বপ্ন বুনেছিলেন, সেটাকে টেনে নিতে পারাটাও আমাদের জন্য গর্বের। এই আয়োজনটি একুশের সকালে রাঙামাটির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে। এই শহরের শিশুরা জানেই একুশের ভোরে এই কর্মসূচীটি পালিত হবেই।’