॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটিতে কভিড ১৯ এর ৪র্থ ডোজ টিকা গ্রহণকারীর হার ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা। তিনি জানান, কভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় সর্ব সাধারণের মাঝে টিকা গ্রহণে প্রথম দিকে কিছুটা অনাগ্রহ দেখা গেলেও ম্যাসেজ দেওয়ার কারণে এই সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। সিভিল সার্জন জানান, রাঙামাটি জেলায় বিগত দু’মাস যাবত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি; তবে টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ পর্যন্ত টিকা প্রদানের হার হলো প্রথম ডোজ ৮৯.২৪%, ২য় ডোজ ৭৭.৩৪%, ৩য় ডোজ ৩৫.৮২% এবং ৪র্থ ডোজ ৩.৬৫%। তিনি টিকা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান। চলমান টিকাদান কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং তৎপরবর্তী নতুন টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে আবার নতুনভাবে টিকাদান শুরু হবে বলেও জানান সিভিল সার্জন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর মাসিক সভায় এ তথ্য জানান তিনি। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) সকালে পরিষদের এনেক্স ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী।
সমন্বয় সভায় জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, মুজিববর্ষের উপহার হিসাবে প্রদত্ত বাসগৃহসমূহে শীঘ্রই পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে টিউবওয়েল স্থাপনের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান যে, দীর্ঘদিন পর পিইডিপি এর আওতায় নির্মিত কাউখালী উপজেলার চেলাছড়া এবং লংগদু উপজেলার আটারকছড়া আবাসিক ছাত্রাবাসে ছাত্র ভর্তির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এখন প্রতি ছাত্রাবাসে ৭৫জন করে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।
উপপরিচালক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর জানান যে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে, আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৬টি ট্রেডের উপর আবাসিক অনাবাসিক প্রশিক্ষণ চলছে।
উপপরিচালক বনরূপা হর্টিকালচার সেন্টার জানান যে, নানিয়ারচর উপজেলার শৈলেশ^রী গ্রামের উৎপাদিত কমলা ও মাল্টা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এ জাতের কমলা মাল্টা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক কলম উৎপাদনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন এবং মাঠ পর্যায়ে তদারকির মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা ও সমন্বয়ের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি পর্যটকদের সুবিধার্থে পর্যটন কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে ঝুলন্ত ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় ওয়াশরুম নির্মাণ এবং মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ ও গতিশীল করার লক্ষ্যে পরিষদ কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে সভায় জানান।
পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে সদস্য ঝর্ণা খীসা, সদস্য দিপ্তীময় তালুকদার, সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা, সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য ইলিপন চাকমা, সদস্য মোসাম্মৎ আছমা বেগম, সদস্য মোঃ আব্দুর রহিম, সদস্য নিউচিং মারমা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদুল আলম চৌধুরী, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরাসহ হস্তান্তরিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর পিতা স্বর্গীয় কংজপ্রু চৌধুরীর মৃত্যুতে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।