রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমণ কমায় বাড়ছে পর্যটক সমাগম ॥ ব্যবসায়ীদের স্বস্তি

298

॥ মঈন উদ্দীন বাপ্পী ॥

রাঙামাটিতে প্রতিদিন কমছে করোনা সংক্রমণের হার। যে কারণে পর্যটক সমাগমও বাড়ছে; ফলে ধীরে ধীর স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মাঝে। পাহাড়ের অন্যতম রূপ বৈচিত্রময় জেলা রাঙামাটি পর্যটন শিল্পের জন্য সারাদেশে সুখ্যাতি রয়েছে। প্রতি বছর হাজার-হাজার পর্যটক পরিবার-পরিজন নিয়ে এ অঞ্চলে আসে জীবনের অবসাদ দূর করতে, মনকে রাঙিয়ে তুলতে।

করোনা মহামারীর কারণে রাঙামাটির পর্যটন ব্যবসা থমকে গেছে বেশ কয়েক বছর। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা চরম অর্থনৈতিক সংকটে দিন অতিবাহিত করেছে। কর্মীরা অর্থনৈতিক দূরদর্শায় দিন পার করেছে। তবুও এসকল ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা আশায় বুক বেঁধেছিলো সুদিন ফিরে আসবে, করোনা দূর হবে। আবারও পূর্বের ন্যায় তাদের অর্থনৈতিক চাকা সচল হবে। কোটি টাকার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হবে পর্যটন সমৃদ্ধ এ নগরী।

গত কিছুদিন যাবৎ পাহাড়ি এ জেলায় পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। হোটেল-মোটেলগুলো বুকিং রয়েছে বেশ। ব্যবসায়ীদের মুখে স্বস্তীর সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। পর্যটকরা দীর্ঘ সময় পর রাঙামাটিতে আসতে পেরে বেজায় খুশি।

চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা বেসরকারি চাকরীজীবি সুজয় সরকার বলেন- অনেকদিন পর রাঙামাটিতে বেড়াতে এসে অনেক ভাল লাগছে। ঝুলন্ত ব্রিজ, বৌদ্ধ মন্দির, সুবলং ঝর্ণা দেখেছি। তার সঙ্গী মিতা আক্তারও একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা দম্পত্তি সাইদুল ইসলাম এবং শেফালী বেবী বলেন- রাঙামাটি দেখার অনেক ইচ্ছে ছিলো। এখানে আসার পর মনে শান্তি লাগছে। সারাদিন কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত ব্রিজ দেখেছি।

রাঙামাটি ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন- আশানুরূপ পর্যটক এখনো আসেনি। তবে ভাল লাগছে পর্যটক সমাগম বাড়তে শুরু করেছে।

বোট মালিক সমিতির এ নেতা আরও বলেন- আমাদের অনেক কষ্টে দিন পার করতে হয়েছে। কর্মচারী-মালিক সকলে কঠিন দিন পার করেছি। এখন করোনা পরিস্থিতির যত উন্নতি হবে তত পর্যটক সমাগম বাড়বে। আমাদের অর্থনৈতিক চাকা সচল হবে, ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবো।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন এর ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়–য়া বলেন- সুখবর হলো- রাঙামাটিতে পর্যটক বাড়তে শুরু করেছে। আমরা করোনা সংক্রমণ রোধ করতে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দেশনা প্রদান করছি। পর্যটন বিভাগের কর্মচারীদের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশরাও কাজ করছে বলে যোগ করেন পর্যটন করপোরেশন এর ম্যানেজার।