অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপকারভোগী চিহ্নিত করতে এবং দ্বৈততা পরিহারে একটি তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে আগামী ৭ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে তিন পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রাম, ঢাকা বিভাগ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রগোনা জেলাসহ দেশের ২৫টি জেলায় খানা জরিপের মাধ্যমে এ তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলা হবে।
সোমবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে খানা তথ্য ভান্ডার শুমারী উপলক্ষে রাঙামাটি জেলার স্থায়ী শুমারী ও জরিপ কমিটির এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়। অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক ও ডিডি এলজি প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় শুমারীর কার্যক্রম নিয়ে প্রাথমিক উপস্থাপনা করেন রাঙামাটি জেলা পরিসংখ্যান বিভাগের উপ-পরিচালক ও জেলা স্থায়ী শুমারী/ জরিপ কমিটির সদস্য সচিব মানবেন্দ্র নারায়ন দেওয়ান।
সহকারি পুলিশ সুপার ক্রামই সাফিউল সারোয়ার এ সময় বক্তব্য রাখেন।
সভায় জানানো হয়, রাঙামাটি জেলাকে দুইটি সমন্বয় এলাকা ভাগ করে ৪৫টি জোন এলাকা নির্ধারণ করা হবে। এলক্ষ্যে মৌজা ভিত্তিক পাড়া এবং গ্রামগুলোর খানা নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক তথ্য সংগ্রহকারী এবং সুপারভাইজার নিয়োগ করা হবে। খানার তথ্য সংগ্রহকালে প্রতিটি খানার সদস্যদের জন্মনিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য সভায় সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে খানা জরিপের মাধ্যমে এ তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলা হবে।