॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেছেন, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক গঠনে গ্রন্থাগারের ভুমিকা অপরিসীম। বইয়ের মধ্যে ইতিহাস ঐতিহ্য রয়েছে এবং বই পড়লে উৎসাহিত হয়। শিক্ষার্থীরা বই পড়ার মাধ্যমে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের উদ্যোগে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারমমুখি করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, সন্তানদের বইমুখি করার জন্য মা বাবাকে দায়িত্ব নিতে হবে। বই না পড়লে ইতিহাস ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে। গ্রন্থাগারে যাওয়া জরুরী। সমাজকে কুসংস্কার মুক্ত বই পড়ার বিকল্প নেই। বই পড়ার নেশা জাগাতে পারলে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদ সদস্য বাদল চন্দ্র দে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান সুনীলময় চাকমা। বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার সমিতির জেলা সভাপতি সাগর ত্রিপুরা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সাধারণ পাঠাগারের পরিচালক ইয়াছিন রানা সোহেল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাঙামাটি সরকারি কলেজের লাইব্রেরিয়ান মোঃ মইনুদ্দিন তারেক। সঞ্চালনা করেন শিক্ষক ও কবি মোঃ কামরুল হাছান রাজিব।
জেলার বেসরকারি গ্রন্থাগারগুলোকে সহযোগিতা প্রদানের আশ^াস দিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, সত্যি বলতে সকল স্তরের গ্রন্থাগারগুলো আজ অবহেলিত। তিনি বলেন, প্রজন্মকে বইমুখি করা না গেলে সংস্কৃতির উপরও আঘাত আসবে। সব গ্রন্থাগারের পরিচর্চা করা হবে এবং নতুনভাবে সাজানো হবে। গ্রন্থাগারগুলোকে যথাযথ সহযোগিতাও দেয়া হবে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা প্রথমে প্রচার প্রচারণায় নামবো। স্কুল কলেজ খুললে শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারমুখি করার জন্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে পোস্টারিং করা হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।