মঈন উদ্দীন বাপ্পী- ৭ মার্চ ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে। ভোরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের পর দিবসটি উপলক্ষে সোমবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের জৈষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, “বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু”।
এই স্বাধীন বাংলার শেষ নবাব সিরাজদৌল্লাকে পরাজিত করে ব্রিটিশ বিনিয়ারা এদেশেকে দীর্ঘ আড়াইশো বছর শাসন করেছে। যুগের আবর্তনে জাতিসমুহের সোচ্চার আন্দোলনের মুখে ব্রিটিশরা এদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু সেদিন বাঙালী জাতি মনে করেছিলো এবার স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। দুঃস্বপ্নের বেড়াজালের এবারও বাঙালী পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শিকলে পতিত হয়। যার ফলে বাঙালীরা স্বাধীনতার দাবিতে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণভ্যুত্থান ৭০’র নির্বাচন, অবশেষে ৭১’র স্বাধীনতার জন্য মুক্তিকামী বাঙালীরা সর্বস্ব ত্যাগ করে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলো। আজ বাঙালী স্বাধীন জাতি, বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে টিকে আছে। আর এ বাংলা ও বাঙালীর ইতিহাস যিনি রচনা করেন তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নবাব সিরাজদৌল্লাহ’র পরাজয়ের দিনকে যিনি স্বাধীনতার স্বাধ বাঙলা ও বাঙালীকে প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, যতদিন বাংলা ও বাঙালী থাকবে ততদিন এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বঙ্গবন্ধু আদর্শের সৈনিক সৃষ্টি হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন তথা সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক জমির উদ্দীন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অভয় প্রকাশ চাকমা, সদস্য জাহিদ আকতার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক দাশ মানিক প্রমুখ।
পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান