॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত রাঙামাটিতে দুই দিনের ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা সম্পন্ন হয়েছে। ‘উদ্ভাবনী জয়োল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যে সোমবার (২১ নভেম্বর) রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ এম. আব্দুল আলী মঞ্চে দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এস এম ফেরদৌস ইসলাম, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বর“ন কুমার দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জাহিদুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী মো.কামাল উদ্দিন, প্রবীণ সাংবাদিক সুনিল কান্তি দে ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মনিরুজ্জামান মহসিন রানা।
২০২০ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশকে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মডেল এসডিজি রাষ্ট্র এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের অন্যান্য এলাকার মতো রাঙামাটি জেলা প্রশাসন এ ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন করে।
সমাপনী অনষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে মাধ্যমিক পর্যায়ে বেতছড়ি জেনারেল ওসমানী উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সুইডেন বাংলাদেশ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ও উদ্ভাবনী অলিম্পিয়াড-এ রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ১ম স্থান অধিকার করে।
এছাড়াও হাতের মুঠোয় বিশ্ব বিষয় নিয়ে এনজিও সংস্থা উই, ডিজিটাল সেবা বিষয়ে স্থানীয় সরকাত প্রকৌশল বিভাগ এবং শিক্ষা, দক্ষতা, উন্নয়ন ও কর্মস্থান বিষয়ে রাঙামাটি কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ১ম স্থান অধিকার করে। তাদেরকে পুরষ্কার ও সনদ প্রদান করা হয়।
মেলায় অতিথিরা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টল পরিদর্শন করে বিজয়ী নির্ধারণ করেন অতিথিরা বিজয়ীদের মাঝে। ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় জেলার বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ৪৯টি স্টল অংশ গ্রহণ করে।
রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এমএ আব্দুল আলী মঞ্চে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ (ডিসি) মিজানুর রহমান প্রধান অতিথি থেকে এ মেলার উদ্বোধন করেন। এর আগে সকালে শহরের হ্যাপিরমোড় এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ এমএ আব্দুল আলী মঞ্চে এসে শেষ হয়। পরে বেলুন উড়িয়ে এবং ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন ডিসি মিজানুর রহমান।