রাঙামাটিতে নবযোগদানকৃত বিসিএস চিকিৎসকদের জেলা পরিষদের সংবর্ধনা

383

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

‘সরকারের ঐকান্তিক সদিচ্ছায় রাঙামাটি জেলায় ৭৫জন ডাক্তার যোগদান করায় জেলার স্বাস্থ্যসেবা অঙ্গণে বিরাট গুণগত পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। তিনি বলেন, রাঙামাটির স্বাস্থ্য বিভাগে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে, তবে পর্যায়ক্রমে এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে জেলা পরিষদ। নবাগত ডাক্তারদের রাঙামাটিতে স্বাগত জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ডাক্তারদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উঠে আসা সমস্যা যেমন উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে ডাক্তারদের আবাসন সঙ্কট, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারি এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী সংকটের বিষয়গুলো ওঠে এসেছে। আমরা এই সমস্যাগুলো দ্রুততার সাথে কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে ৪২ তম বিসিএস এর নব যোগদানকৃত চিকিৎসকবৃন্দের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এই মতামত ব্যক্ত করেন।

সোমবার (০৭ মার্চ) সকালে পরিষদের সভাকক্ষে সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কমিটির আহ্বায়ক ও পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা এবং পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নানিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নূয়েন খীসা এবং সভা পরিচালনা করেন রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শওকত আকবর খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, আজকের এই দিনটি (৭ই মার্চ) আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এই ঐতিহাসিক দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশ্য যে দিক নিদের্শনামূলক বক্তব্য দেন তার কারণে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট এ শাহাদাতবরণকারী, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং সকল ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

বক্তব্যে চেয়ারম্যান আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়ার জন্যে বলেছেন। আমরা সকলে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবো। কভিড চলাকালীন সময়ে আমরা যে আতংকের মধ্যে ছিলাম তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চিকিৎসকদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। শুধু চিকিৎসক নয় স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মচারী সকলের ঐকান্তিক চেষ্টা এবং পরিশ্রমে আমরা সে আতংকের জগত থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নবযোগদানকৃত ডাক্তাররাও রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের অতীতের সাফল্যকে চলমান রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

এসময় পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, পরিষদ সদস্য প্রিয় নন্দ চাকমা, পরিষদ সদস্য ঝর্ণা খীসা, পরিষদ সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানসহ ১০ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।