রাঙামাটিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপিত

119

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাঙামাটিতে কমিউনিটি পুলিশিং ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘পুলিশ জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ প্রতিপাদ্যে পালিত দিবসটি ঘিরে শনিবার সকালে কোতয়ালী থানা প্রাঙ্গণে এক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটি জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম বার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ বছরের জন্য নির্বাচিত রাঙামাটি জেলার শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার হিসেবে এসআই তানভীরুল হক চৌধুরী এবং শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য হিসেবে লংগদু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ১এপিবিএন রাঙামাটির সহঃ অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মোঃ তরিকুল ইসলাম, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মহসিন রানা এবং অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, রোভার স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবসার ও ফরেস্ট কলোনী গ্রীণ কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলাপ্রশাসক বলেন, আমরা সকলে মিলে একসাতে কাজ করতে পারলে রাঙামাটি জেলাকে একটি পরিচ্ছন্ন পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো। শহর সুন্দর রাখা যেমন শুধু পৌরসভার একার দায়িত্ব না, তেমনি সামাজিক পরিবেশ সন্দর রাখাও শুধু প্রশাসন বা পুলিশের একার কাজ না, সব কিছুর মধ্যেই নাগারিক সমাজের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বা পালন করতে পারলে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবতা লাভ করতে সময় লাগবেনা।

পুলিশ সুপার বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং একটি সংগঠনভিত্তিক দর্শন ও ব্যবস্থাপনা- যা জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনগণ ও পুলিশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সমাজে অপরাধ ভীতি হ্রাস ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা হয়। এটি একটি গণমুখী, প্রতিরোধমূলক ও সমস্যা সমাধানমূলক পুলিশি ব্যবস্থা। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশ-জনগণের মিথস্ক্রিয়ার ফলে পুলিশের কাজে জনগণের আস্থা, অংশগ্রহণ, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার অনুপাতে প্রায় ৮৫০ জনের বিপরীতে ০১(এক) জন পুলিশ সদস্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করেন, যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তাই জনগণ পুলিশের সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করলে আইন শৃঙ্খলার গভিরতা বৃদ্ধি পাবে।

সমাবেশে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।