রাঙামাটিতে সফল ফ্রি ল্যান্সার

333

॥ মঈন উদ্দীন বাপ্পী ॥

টেকনোলজি ব্যবহার করে কিভাবে স্বামলম্বী হতে হয় তার দৃষ্টান্ত উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন রাঙামাটির অপ্রতুল কান্তি তঞ্চাঙ্গ্যা। তিনি দুই বছরে আয় করেছেন ২৮ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ২০ লক্ষ টাকার অধিক।

জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত লার্নিং আর্নিং মেলায় জেলার সফল ফ্রি ল্যান্সার হিসেবে অতিথিদের হাত থেকে পুরুস্কার স্বরূপ একটি ল্যাবটপ পাওয়ার পর অভিব্যাক্তিতে তার সাফল্য গাঁথার গল্প শুনান তিন মিনিটে।

এসময় তিনি সমস্যা, সম্ভবনা , দাবি এবং তরুণ যুব সমাজের উদ্দেশ্য শুনান কিছু বাণী।

অপ্রতুল বলেন, ফ্রি ল্যান্সে কাজ করতে গিয়ে তাকে নানা চড়াই-উতরায় পেরুতে হয়েছে। তার এ সাফল্য গাঁথায় প্রধান বাধাঁ হয়ে দাড়িয়েছিলো ইন্টারনেটের নিম্ন গতি।

তিনি বলেন, ইন্টার নেটের গতি  নিম্ন থাকার কারণে আমার অনেক কাজ হাড় ছাড়া হয়েছে। তিনি জানান, আমার কাজের জন্য তারা বসে নেই। তারা অন্য কাউকে দিয়ে তাদের কাজ করিয়ে নেয়। এজন্য যার ইন্টার নেটের গতি যত বেশি তার আয়ও তত বেশি হয়। এজন্য এ পেশায় আয়ের পরিমান বাড়াতে হলে ইন্টারনেটের গতি অবশ্যই বাড়াতে হবে।

অপ্রতুল বলেন, এ জেলার প্রধান সমস্যা হচ্ছে ইন্টারনেটের  নিম্ন গতি। ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় আমি চট্টগ্রামে গিয়ে এ কাজ করেছি। ইন্টার নেটের গতি না থাকলে এ পেশায় আয় করা যায় না বলে তিনি জানান।

এছাড়া এ পেশায় কাজ করতে হলে দক্ষতার কোন বিকল্প নেই। এজন্য অধিক পরিমাণে এ কাজ সম্পর্কে চর্চা করতে হবে।

তরুণের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, যারা লেখা-পড়া শেষ করে বসে আছেন, প্রযুক্তি সম্পের্কে জ্ঞান আছে, তারা সরকারি চাকরীর পিছনে না দূরে এ পেশায় মনযোগ সহকারে কাজ করলে নিজের ভাগ্যর চাকা নিজে ঘুরোনো যাবে। এজন্য ধৈর্য ও কাজ করার মানুসিকতা তৈরি করতে হবে। এছাড়া যারা লেখাপড়া করছে তারাও এ পেশায় বিপুল পরিমাণে আয় করতে পারে।

এসময় জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা ইন্টার নেটের গতি বাড়ানোর জন্য সহযোগিতা করুন। আর ইন্টারনেটের গতি বাড়লে প্রযুক্তি খাতে রাঙামাটিতে আরও ফ্রি ল্যান্সার বাড়েব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দক্ষ ব্যক্তিকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনের কাছে প্রস্তাবনা জানান।