রাঙামাটির ৫ সাংবাদিকসহ ৮জনের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

358

রাঙামাটির ৫ সাংবাদিকসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক একে এম মকছুদ আহমেদ। গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, গত শনিবার ১৩ নভেম্বর দৈনিক প্রত্যয় ও আরজিএ প্রতিদিন ডটকম নামক দুটি অনলাইনে প্রকাশিত “রাঙামাটির ৫ সাংবাদিকসহ ৮জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।

উক্ত সংবাদের তথ্য উপাত্ত পরিবেশতি করার ক্ষেত্রে আমার কোন বক্তব্য নেয়া হয়নি। যা সাংবাদিকতার নীতিমালা পরিপন্থী এবং এটি জিডিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর লঙ্ঘনও বটে। বিষয়টি নিয়ে আমি অত্যন্ত মর্মাহতও ক্ষুদ্ধ হয়েছি।

উল্লেখ্য যে, নীপিড়িত মানুষ তাদের অধিকারের কথা সাংবাদিকদের মাধ্যমে তুলে ধরে পরবর্তীতে আদালতের দ্বারস্থ হয়। যেটি তার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। এমনটিই প্রচলিত নিয়ম। সাংবাদিক সম্মেলনে নিউজ পত্রিকায় প্রকাশ করে এই প্রথমবার রাঙ্গামাটিতে গণমাধ্যম সম্পাদকরা মামলার আসামী হলো। সেটি মুক্ত স্বাধীনতা তথা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে চরম বাধা এবং হুমকি স্বরূপ। সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার মানসে একমনটি করা হয়েছে। এটা জাতির জন্য মোটেও মঙ্গলজনক নয়। আমি বিষয়টি চরম ভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটিতে আমার বা আমাদের কোনো বক্তব্যে নেয়া হয়নি সেটি মূল সাংবাদিকতার নীতিমালা পরিপন্থী কাজ হয়েছে বলে মনে করছি। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ধরনের কর্মকান্ড থেকে আমাদের সাংবাদিকদের আরো দূরসৃষ্টি সম্পন্ন হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

এখানে আরো উল্লেখ্য যে, জনাব জাহিদুল ইসলাম জাহিদের বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ এনে ইব্রাহিম দম্পত্তি কর্তৃক সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। যথারীতি সাংবাদিকরা সকলেই একাধিক মিডিয়া ও সংবাদপত্রে সংবাদটি প্রকাশ করেছে। এই ক্ষেত্রে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ কোন প্রকার প্রতিবাদ পত্র গণমাধ্যমে প্রদান করেনি। প্রেস কাউন্সিলেও কোনো অভিযোগ দেয়নি। কোনো প্রকার উকিল নোটিশও প্রদান করেনি। সংবাদ প্রকাশের মাস খানেক পর সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে একটি মামলা দায়ের করেছে। তাও আবার সাইবার ট্রাইবুনালে। বিষয়টি স্পষ্টই ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছি আমি। পার্বত্য এলাকার সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার লক্ষেই এই ধরনের মামলা করা হয়েছে এবং এতে দেশী-বিদেশীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে আমার ধারণা।

উক্ত মামলাবাজ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ যে নিয়ে ইতিমধ্যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেছে রাঙ্গামাটি জেলা আইনজীবি সমিতি কর্তৃপক্ষ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল গাফফার মুন্না স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টই উল্লেখ করা হয় জাহিদুল ইসলাম জাহিদ নামে কোন আইনজীবি রাঙ্গামাটিতে নেই। শিক্ষানবিশ নেই। তাই জনৈক ইব্রাহিম সম্পত্তির সংবাদ সম্মেলনের তথ্যের সাথেও বিষয়টি পুরোপুরি মিল রয়েছে। এতে সাংবাদিকদের অপরাধ কোথায়? তারপরও বিষয়টি নিয়ে কতিপয় মহলের ষড়যন্ত্র যেন থামছেই না। আমি আরো উল্লেখ করছি যে, আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয় যে, আমি অন্য মামলার আসামী। তথ্যাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মানহানিকর। মরহুম সাংবাদিক মোস্তফা কামাল এর সম্পত্তি বেহাত করার লক্ষে তার স্ত্রী জাহেদা কামাল এর বিরুদ্ধে না না রকম ষড়যন্ত্র করায় তার সহকর্মীরা এগিয়ে আসে। এ জন্য তাদের কেও আসামী দিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। তাই মামলাকারীদের সাথেও জাহিদের নিবিড় সর্ম্পক রয়েছে এবং তাদের প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় জাহিদ ও তার গংরা রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিক সোলায়মান, আলমগীর মানিক, হৃদয়/নির্জনকে আসামী করে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে হয়রানী করার জন্য এসব অপকর্ম করা হয়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার প্রতিবাদটি যথাস্থানে প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।