রাঙামাটির ৮২ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে স্বাস্থ্য বিভাগ

462

॥ মনু মার্মা ॥
রাঙামাটি জেলায় ৮২হাজার ৪৯৬ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বৃহষ্পতিবার সকালে রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ঘিরে সাংবাদিকদের নিয়ে অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানান রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা।

আগামী ১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার ১০ উপজেলায় একযোগে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাম্পেইনে জেলার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯ হাজার ২’শ ৫১ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৩ হাজার ২’শ ৪৫ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সভায় সিভিল সার্জন বিপাশ খীসার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক গিরিদর্পণ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী, রাঙামাটি রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা। এসময় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল সম্পর্কে অবহিত করেন করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডাঃ মোস্তফা কামাল।

সভায় রাঙামাটিতে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।

এ সময় সিভিল সার্জন জানান, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১ টি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ সময় পুরো জেলায় মোট ১ হাজার ৩১৫টি কেন্দ্র খোলা থাকবে। স্বেচ্ছাসেবী কর্মী থাকবে ২ হাজার ২০১ জন। মাঠকর্মী থাকবে ৪২৯ জন এবং ২৪১ জন প্রথম সারির তদারককারী নিয়োজিত থাকবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হওয়ার পর থেকে শিশু মৃত্যুর হার ২০ শতাংশ কমে গেছে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে শিশুরা সাধারণত রোগে আক্রান্ত হয় না। আবার আক্রান্ত হলেও শিশুর মৃত্যু হয় না।