রাঙামাটি জেলার আরো ২০৬ গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলো

416

॥ মোঃ ওমর ফারুক ॥

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা রাঙামাটি জেরার ভূমি ও গৃহহীন ২০৬টি পরিবার। ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তৃতীয় পর্যায়ে রাঙামাটি জেলার এ সব পরিবারের হাতে গৃহ হস্তানন্তর করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ঘরগুলোর উদ্বোধন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোন লোক গৃহহীন থাকবে না। পর্যায়ক্রমে গৃহহীন সকল মানুষকে নিজস্ব ভূমিসহ ঘর প্রদান করা হবে।

এ সময় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার সাথে সরাসরি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। কাউখালী অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিল্পী রাণী রায়, কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুদোহা চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম, কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন আরা সুলতানাসহ অন্যান্যরা।

তৃতীয় পর্যায়ে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৯০টি, লংগদু উপজেলায় ১০টি, নানিয়ারচর উপজেলায় ১১টি, বরকল উপজেলায় ৫৫টি এবং কাউখালী উপজেলায় ৪০টিসহ সর্বমোট ২০৬টি গৃহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় এবং উপকারভোগীদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মোঃ জামশেদুল আলম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হালিম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নিংবাইউ মারমা, ভাইস চেয়ারম্যান অংপ্রু মারমা, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ শাহাবুদ্দিন হোসাইন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মানস মুকুল চাকমা, উপজেলা ইনস্ট্রাক্টর মোঃ গিয়াস উদ্দিন, বিআরডিবি চেয়ারম্যান মোঃ বেলাল উদ্দিন, বিআরডিবি অফিসার প্রিয়তোষ কান্তি দাস, বেতবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান অংক্যাজ চৌধুরী, ঘাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাজিমউদ্দীন, কলমপতি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যজাই মারমা, উপজেলা প্রেস ক্লাব সহ-সভাপতি মোঃওমর ফারুক, পিআইও আবু হেলাল সহ উপজেলা পরশাসনের সকল কর্মকর্তা স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি বৃন্দ এবং কাউখালী উপজেলার চার ইউনিয়নের ৪০ জন ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সদস্য সদস্যাবৃন্দ।

আলোচনাাসভা শেষে অতিথি বৃন্দকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং পরে অতিথি বৃন্দ কে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় এবং অনুষ্টানের অতিথী বৃন্দ ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের হাতে চাবি ও ২ শতাংশ জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করেন।