॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেছেন, জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সভা হলো উন্নয়ন সভা। সকল বিভাগের সমন্বয়ে জেলা পর্যায়ের এটি সর্বোচ্চ উন্নয়ন ফোরাম। বিভিন্ন বিভাগের উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান করার জন্য এধরনের সভার প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য বর্তমান অবস্থা থেকে ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির পথে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। দেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা খালী পায়ে খালী গায়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে একটি সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যে দেশপ্রেম নিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে মুক্ত করেছে দেশের উন্নয়নে সে অনুপ্রেরণা নিয়ে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে রেশম,তুলা এবং তাঁত শিল্প জড়িত। এগুলি এখন বিলুপ্তির পথে। এগুলিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আমাদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে (এনেক্স ভবন) অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য নুরুল আলম জেলার কৃষির আধুনিকীকরণে ট্রাক্টর ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানান। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গভীর নলকূপ ব্যবহার করে সেচের ব্যবস্থা এবং প্রতি উপজেলায় একটি করে জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় নার্সারী স্থাপনের প্রস্তাব রাখেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো.আল মামুন মিয়া বলেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য মার্চ মাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি।
রাঙামাটি সদর সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ বলেন,দেশে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণকে মাস্ক পড়া বাধ্য করার জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জেলা পুলিশ নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এছাড়া তিনি জেলার যেকোন অপরাধ সংঘটনে কোন তথ্য থাকলে তা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব বিভাগের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।