॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির আয়োজনে নিউট্রিশন কর্মসূচির বার্ষিক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে এক কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০ টায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। “লিডারশিপ টু এনশিওর এডুইকুয়েট নিউট্রিশন (লিন)” প্রকল্পের সহযোগীতায় বাৎসরিক নিউট্রিশন কর্মসূচির বিষয়ে এই কর্ম পরিকল্পনা কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন রাঙামাটি জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ও জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খিসা। কর্মশালায় জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্যবৃন্দ তথা সরকারি ১৭টি বিভাগের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ বা তাদের প্রতিনিধিবৃন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতেই কর্মশালার সমন্বয়কারী ডায়না চাকমা “লিন” প্রকল্পের আওতায় নানিয়ারচর উপজেলায় ২০২০ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত যেসকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে তার উপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। পরে আগামী জুলাই পর্যন্ত কি কি কার্যক্রম হতে নেওয়া হবে তার উপর অংশগ্রহণকারী বৃন্দ বিশদ আলোচনা করেন।
এ সময় কার্যকর প্রশাসন ব্যবস্থা সক্রিয়করণ ও শক্তিশালীকরণ এবং ব্যবহার উপযোগীকরণ, কমিউনিটি পর্যায়ে পুষ্টি বিষয়ে সচেতনতা ও চাহিদা এবং আচরণগত পরিবর্তন বৃদ্ধিকরণসহ কৃষি পণ্যের ভেল্যুচেইন ও মার্কেট সিস্টেম উন্নয়ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
উদ্বোধক বিপাশ খীসা তার বক্তব্যে বলেন, লীন প্রকল্পের সকল কার্যক্রম প্রশংসাযোগ্য। লিন প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার প্রদানের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি লীন প্রকল্প ভবিষ্যতে এরূপ কার্যক্রম চলমান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সিভিল সার্জন আরো বলেন, লিন প্রকল্পের দ্বারা পরিচালিত স্থানীয়দের পুষ্টি, কৃষি ও কিশোর-কিশোরীদের বয়সন্ধিকালীন মানসিক বিকাশে সহায়ক কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে লীন প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি সকলকে মা ও শিশুর পুষ্টি, কিশোরীদের বয়সন্ধিকালীন আচারণের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখার আহ্বান জানান।