রাঙামাটি রাজবন বিহারে বংসা গোঝা’র জ্ঞাতি মিলন মেলা

93

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটিতে বসবাসরত বংসা/ওয়াংসা গোঝার (গোষ্ঠী) ১১তম জ্ঞাতিমিলন মেলা ঘিরে রাঙামাটি রাজবন বিহারে পুণ্যার্থীর ঢল অংশগ্রহণে মুখরিত হয়েছে পুরো বিহার। এ উপলক্ষে বিশে^ শান্তি ও মঙ্গল প্রার্থনা জানিয়ে সোমবার সকালে রাঙামাটি রাজবন বিহারে বংসা/ওয়াংসা গোঝার জ্ঞাতিমিলন আয়োজক কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় নানান ধর্মীয় কর্মসূচি।

সকালে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন,বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার বাতি দান,বিশ্ব শান্তি প্যাগোডার উদ্দেশ্য টাকা দান,পঞ্চশীল প্রার্থনা,পি-ুদান,বিশে^ শান্তি মঙ্গল প্রার্থনাসহ নানা বিধ ধর্মীয় কর্মসূচি পালিত হয়। তিন পার্বত্য জেলা থেকে এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রায় তিন শতাধিক পুণ্যার্থী।

এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সভাপতি চাঁদ রায়। পঞ্চশীল পাঠ করেন অনিলা চাকমা। বিশ্বে শান্তি মঙ্গল প্রার্থনায় বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন শতাব্দী দেওয়ান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল বিকাশ চাকমা।

ধর্মীয় সভায় ভগবান বুদ্ধের অমৃতময় বাণীর উদ্বৃতি দিয়ে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্য ধর্মদেশনা দেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, রাজবন বিহারের জ্যেষ্ঠ ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ সুমন মহাস্থবির, তপোবন অরণ্য কুটিরের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ জিনপ্রিয় মহাস্থবির।

রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির বলেন,’এ জ্ঞাতি মিলন মেলার অনেক গুণ আছে। একসাথে পূণ্যকাজ করা,খারাপ পথে চলা ব্যক্তিদেরকে সৎ পথে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে জ্ঞাতিমিলনের প্রয়োজনের আছে। এভাবেই জ্ঞাতি মিলন মেলার মাধ্যমে মহাপূণ্যানুষ্ঠান করা সম্ভব। তবে ধর্মীয়ভাবে জ্ঞাতি মিলন মেলা বলতে নিজ গোষ্ঠীর আত্মীয় স্বজন এক জায়গাতে একত্র হয়ে পুণ্যকাজ সম্পাদন ও ভাব আদান প্রদান করাকে বোঝানো হয়।’