জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেছেন, রাঙামাটি শহরকেএকটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার আওতায় এনে শহর গঠনে কাজ করতে হবে। নানা সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সুযোগ সুবিধা নিয়ে যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা বসতি, অবৈধভাবে জায়গা দখল, রাস্তা দখল করে রাঙামাটি শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলেছে।
হ্রদের উপর ঝুলন্ত ঘরবাড়ি, ঝুলন্ত পায়খানা একদিকে যেমন হ্রদের সৌন্দর্য্য হানি করছে, অন্যদিকে পরিবেশ দুষণ করছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যাবে না। সকল সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার আলোকে রাঙামাটি শহরকে আরো সৌন্দর্য্যময় করে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
রোববার দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে মার্চ মাসের জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অবৈধ জাঁক উচ্ছেদে অভিযান চলছে।
এই জাঁক পদ্ধতি মাছের প্রজনন, বৃদ্ধি ও পরিবেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন, নৌ পুলিশ ও বিএফডিসির যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যেভাবে বন্দোবস্তি বা ইজারা দেয়া হচ্ছে তা আইনসম্মত কি না সেটাও দেখতে হবে।
শহরের জন্য কতটা যৌক্তিক এসব বন্দোবস্তি বা ইজারা তা ভাববার সময় এসেছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করার আহবান জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এর সভাপতিত্বে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, স্থানীয় সরকার উপ পরিচালক প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. সুমনী আক্তার, রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিজা খাজা, চেম্বার অব কমার্স সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান মহসিন রানা, প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী নজরুল ইসলাম, ডা. একে দেওয়ান, সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, স্কাউট কমিশনার নুরুল আবছার প্রমূখ। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পর্যটকদের জন্য অনুকুল পরিবেশ তৈরি করা, পর্যাপ্ত শৌচাগার ও বিশ্রামাগার স্থাপন, মাদক দমন অভিযান জোরদার করা, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, যত্রতত্র রাস্তা দখল করে মালপত্র রাখা, শব্দ দূষন, বাজার ব্যবস্থাপনা, রাস্তা প্রসস্তকরণ ও জঙ্গিবাদ রোধের বিষয়েও আলোচনা হয় ।