রাঙামাটি শহরের খানবাড়ী এলাকায় অগ্নিকান্ডে ৩১ পরিবারের মাথায় হাত

429

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটি শহরের ওমদামিয়া হিল খানবাড়ী এলাকায় এক ভায়াবহ অগ্নিকান্ডে মাথায় হাত পাড়েছে ৩১ পরিবারের। ২০টির মতো বসতঘরে এই ৩১ পরিবার বসবাস করতো। এর মধ্যে ২১ পরিবারের প্রায় সর্বস্ব পুড়ে গেছে অবশিষ্টরা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অগ্নি ক্ষতিগ্রস্তরা বর্তমানে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর অবস্থায় দিন পার করছেন। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি স্থানীয় বিত্ত্বানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে এলাকার সুশীল সমাজ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়নের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এলাকাটিকে ঘিঞ্জি বসতিতে পরিণত করায় এমন দুঃখ জনক ঘটনা ঘটেছে। তারা নতুন বসতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পৌরকর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ম মাফিক তদারকির উপর জোর দিয়েছেন।

এলাকার অধিবাসি ও রাঙামাটি আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল গাফফার মুন্না বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছে; কিন্তু বসতি স্থাপনে অসতর্কতাও এমন দুর্ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী। তিনি বলেন, মানুষ নিরুপায় হয়েই মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজে নেয় তবে এই অসহায় মানুষদের সঠিক নির্দেশনা প্রদানের নির্দিস্ট কর্তপক্ষ এবং আইন রয়েছে, পাশাপাশি আমরা যারা সমাজ সচেতন তারা কেউই এই দায় এড়াতে পারি না। আইনের তোয়াক্কা না করে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত বসতি গড়ে উঠছে। এমনকি পাহাড় থেকে দশফুট দুরে ঘর বাঁধার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানছেন না অনেকেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজরদারি কামনা করেন তিনি।

শুক্রবার বিকেলে রান্নার চুলা থেকে এ অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। চৈত্রের দাবদাহে মূহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছয়টি বসতঘর গ্রাস করে নেয়। স্থানীয় লোকজন নিজ উদ্যোগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে, পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ঘন্টার বেশী সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকান্ডে অন্তত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। ক্ষতিগ্রস্থরা খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে।