রাঙামাটি শহরের দক্ষিণ কালিন্দীপুর ও হ্যাচারী এলাকায় সংযোগ ব্রীজ উদ্বোধন

177

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গমতাকে জয় করে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন দক্ষিণ কালিন্দীপুর ও হ্যাচারী এলাকায় নির্মিত সংযোগ ব্রীজ উদ্বোধন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।

এ সময় রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, সদস্য ঝর্ণা খীসা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, হেনা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মোঃ মাসুদ রানাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে ব্রীজ পরিদর্শন করেন এমপিসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ দিয়েছেন। সেখানে যাতায়াতের অসুবিধা ছিল। ব্রীজটি নির্মাণের ফলে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। ছোট বড় গাড়ি চলাচল করবে, এখন সড়কটি ব্যস্ত রাস্তায় পরিণত হবে। এলাকার মানুষদের অনুরোধ করে এমপি বলেন, সড়কের রাস্তা যেন স্বেচ্ছায় বাড়ানোর সুযোগ দেন। আর স্বেচ্ছায় যদি বড় করার সুযোগ না দেন তাহলে আইন মোতাবেক দেশের এবং এলাকার মানুষের স্বার্থে আমরা যেকোন ধরনের প্রক্রিয়া হাতে নিতে বাধ্য হবো।

এমপি দীপংকর তালুকদার আরও বলেন, বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি আসামবস্তী ব্রীজ করার পরিকল্পনা আছে। একই সঙ্গে বাঁধ থেকে ধোপাপাড়ায়ও ব্রীজ করার পরিকল্পনা আছে। এগুলো নির্মাণ হলে ট্রাফিক জ্যাম কমবে এবং যাতায়াতের পথ সুগম হবে।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে ২০১৭ সালে সদর উপজেলাধীন দক্ষিণ কালিন্দপুর ও হ্যাচারী এলাকায় সংযোগ ব্রীজটির কাজ শুরু হয়। ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ২২০মিটার এবং প্রস্থ ৬ দশমিক ৫০ মিটার। ব্রীজটি নির্মাণের ফলে ভেদভেদী-রাঙ্গাপানি- আসামবস্তী এলাকার মানুষ জেলার মূল শহরের সঙ্গে সহজে যাতায়াত করতে পারবে।