রাঙামাটি শহরে আ’লীগ নেত্রীর ঘরে ঢুকে কুপিয়ে জখম> এমপি চিনুর ক্ষোভ

391

রাঙামাটি শহরের বিজয় নগর এলাকায় একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসাসহ তার স্বামী ও ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। বুধবার গভীর রাতে মুখোশ পরা সন্ত্রাসীরা তার নিজ ঘরে এ হামলা চালায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় ঝর্ণা খীসাকে রাঙামাটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এই ঘটনার খবর শুনে রাজধানীতে অবস্থানরত রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু গণ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, পাহাড়ের অস্ত্রধারীরা এখন জেলা সদরেও এভাবে প্রকাশ্যে হামলা চালানো ধৃষ্টতা দেখিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইছে আমরা জানিনা। তবে তাদের আর কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া উচিৎ হবে না।

এমপি বলেন, অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করা জেএসএস আগামী নির্বাচনে হেরে যাবার ভয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা জানে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মাঠে থাকলে জনগণ অস্ত্রের ভয়ে ভীত না হয়ে সুস্থ রাজনীতির প্রতিই তাদের সমর্থন ব্যক্ত করবে। তাই তারা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে।

ঝর্ণার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, গভীর রাতে ১০/১৫জনের একদল মুখোশধারী জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে তাদের এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপাতে থাকে।

ঝর্ণা খীসাকে এ সময় সাহায্য করতে এগিয়ে এলে তার স্বামী জিতেন্দ্র লাল চাকমা ও ছেলে রণবিষ্ণ চাকমা আহত হয়। এদের মধ্যে ঝর্ণা খীসার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মঙ্গলবার জুরাছড়িতে এক যুবলীগ নেতাকে হত্যা ও বিলাইছড়িতে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করার পরদিন জেলা আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল আহ্বানের পূর্বরাতে এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। তাদের  মধ্যেএই সহিংস রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।