সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য জেলা শহর রাঙামাটিতেও চলছে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান। “চল যাই যুদ্ধে-মাদকের বিরুদ্ধে” এই শ্লোগানে পরিচালিত হওয়া মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে রাঙামাটিতে পরিচালিত এই অভিযানের সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করছেন রাঙামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবির।
রাঙামাটির কোতয়ালী থানা পুলিশ জানিয়েছে, চলমান অভিযানে চলতি মাসের গত এক সপ্তাহে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মাদক সেবনসহ কেনাবেচার সাথে জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে উল্লেখ করে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যজিৎ বড়ুয়া জানিয়েছেন, আমরা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় রাঙামাটি শহরে মাদকের অবাধ কেনা-বেচা বন্ধসহ মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করি।
এতে করে গত এক সপ্তাহে শহরের কালিন্দিপুর, রিজার্ভ বাজার, পিটিআই এলাকা, পৌরসভা সংলগ্ন এলাকা, হাসপাতাল রোডসহ স্টেডিয়াম এলাকা থেকে সর্বমোট ১১জন মাদক ব্যবসায়ি ও সেবীকে আটক করি। আটকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি এই অভিযানের সময়, প্রায় তিনশো লিটার পাহাড়ি চোলাই মদ, শতাধিক ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
থানা পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এসআই সৌরজিৎ বড়ুয়া, এসআই লিমন বোস, এসআই জাহাঙ্গীর, এসআই শিবু, এসআই শাহজালাল, এএসআই হিরা, এএসআই গণেশ, এএসআই অঞ্জন, এএসআই আলামিনের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে মাদক বিরোধী অভিযান।
পুলিশের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত শহরজুড়ে চলবে মাদক বিরোধী এই অভিযান এমন তথ্য জানিয়ে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ সত্যজিৎ বড়ুয়া বলেন, স্থানীয় পাহাড়িদের জন্যে তাদের তৈরিকৃত চোলাই মদ তৈরি ও নিজস্বভাবে পরিবারের মধ্যে পান করা আইনের মাধ্যমে যতটুকু অনুমোদন রয়েছে সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের পুলিশের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
কিন্তু নিজের প্রয়োজনের বাইরেও বাজারজাত করার প্রত্যয়ে যেসকল স্থানে মদ তৈরি ও মজুদ করা হচ্ছে সেসকল স্থানে আমাদের অভিযান চলবে এবং এতে যাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদেরকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।
তিনি বলেন, আমরা ইয়াবা ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িতদের ব্যাপার তথ্য সংগ্রহ করছি। স্থানীয় সামান্য কয়জনের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া মাত্রই আমরা অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকজনকে আটক করে মামলা দিয়েছি।
ওসি জানান, একটি এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে হলে সেখানকার স্থানীয় সচেতন বাসিন্দাদেরকে অবশ্যই পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। শহরের সচেতন নাগরিকদের কাছে মাদক-সেবী ও মাদক কেনাবেচার সাথে জড়িতদের ব্যাপারে সার্বিক তথ্য প্রদান করে পুলিশকে সহযোগিতার আহবান জানিয়ে ওসি বলেন, প্রয়োজনে তথ্য প্রদানকারির সার্বিক পরিচয় রাঙামাটি পুলিশ বিভাগ গোপন রাখবে এই নিশ্চয়তা আমি প্রদান করছি।