রাঙামাটি সুর নিকেতনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী

437

p..2

স্টাফ রিপোর্টার, ৮ ফেব্র”য়ারি ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : রাঙামাটির স্বেচ্ছাসেবী সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সংগঠন সুর নিকেতনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গঁল প্রদীপ জ্বালিয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় শনিবার (৬ফেব্র”য়ারী) সন্ধ্যায়  ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটে মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠান পরিবেশিত  হয়। সুর নিকেতনের উপদেষ্টা সুনীল কান্তি দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপমহাদেশের বিশিষ্ট উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত প্রশিক্ষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বর্ণময় চক্রবর্তী, বিশিষ্ট কবি মৃত্তিকা চাকমা, রাঙ্গামাটি বেতারের সঙ্গীত শিক্ষক রনেশ্বর বড়–য়া’সহ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্ত্যবে দীপংকর তালুকদার বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টীর সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসারে সুর নিকেতনের মতো রাঙ্গামাটির সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। আর তাহলেই এ অঞ্চলের সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হবে। দীপংকর তালুকদার সুর নিকেতনের ৩৪বছরে সংস্কৃতি চর্চার প্রসংসা করে বলেন সুর নিকেতন  রাঙ্গামাটির সঙ্গীত শিল্পী সৃজনে যে ভুমিকা রেখেছে তা এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি সুর নিকেতনের উদ্যোগে রবীন্দ্র নজরুল সঙ্গীতকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টীর নিজস্ব ভাষায় রুপান্তর করে সিডি ক্যাসেট প্রকাশের যে পরিকল্পনা নিয়েছে তাতে তার সমর্থন জানিয়ে তিনি সিডি প্রকাশে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। তিনি রাঙ্গামাটিতে স্বল্প মেয়াদী সঙ্গীত উৎসব আয়োজনের উদ্যোগের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে এ উৎসবে সংস্কৃতি মন্ত্রী যাতে উপস্থিত থাকতে পারেন সেই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সাংস্কৃতি কর্মীদের আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্গীতজ্ঞ স্বর্নময় চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশের চলমান জঙ্গীময় সংকট গোলাগুলি বা বল প্রয়োগ করে দূর করা সম্ভব নয়। এই অপতৎপরতা প্রতিরোধে সংস্কৃতি ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। তিনি দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অন্যান্য বিষয়ের ন্যয় সঙ্গীত বিষয়টিকে যুক্ত করতে বর্তমান সরকারের প্রতি দাবি জানান। তিনি বলেন, এতে করে শিশুকাল থেকেই শিশুরা সংস্কৃতি মনা হয়ে উঠবে। আর দেশ প্রগতির পথে এগিয়ে যাবে। তিনি তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে ৫ দিনব্যাপী সঙ্গীতানুষ্ঠান করার বিষয়ে সাবেক পার্বত্য মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে সুর নিকেতনের শিক্ষার্থীরা রবিন্দ্র, নজর”ল, উচ্চাঙ্গ, আধুনিক, চাকমা রবিন্দ্র সঙ্গীতসহ বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে অনুষ্ঠানটি রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। অগনিত দর্শক শ্রোতা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।

পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান