।।সাইয়্যেদ মোঃ সাখাওয়াত।।
রাঙ্গামাটিতে পৌরসভা কেন্দ্রিক পৌরবাসীর ভাবনা, প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পৌরসভা মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ)। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন। সভার সভাপতিত্ব করেন পৌর প্রশাসক মোঃ মোবারক হোসেন (পারভেজ)।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাঞ্চিতা চাকমা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ মনছুরুল হক, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনরা।
বক্তব্যে বাঞ্চিতা চাকমা বর্তমান পৌর প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার দায়িত্ব গ্রহণের পর পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে, পৌরসভার কম্পাউন্ডও অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে রাঙ্গামাটির প্রবেশ পথে শিমুলতলীর ময়লার স্তুপ দ্রুত অপসারণ করার দাবি জানান তিনি। তার মতে, পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটিতে প্রবেশের সময় বর্জ্যের দুর্গন্ধে পর্যটকদের স্বাগত জানানো কোনোভাবেই কাম্য নয়।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ মনছুরুল হক বলেন, রাঙ্গামাটির উন্নয়ন পরিকল্পনায় নির্বাহী প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে একটি মাস্টারপ্লান তৈরি করা জরুরি। উন্নয়ন কার্যক্রম যেন পরিবেশ ও পর্যটনকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, সে বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, শহরকে ফুটপাতমুক্ত করা, স্ট্রাকচারাল মাস্টারপ্লান প্রণয়ন করা এবং সকল নাগরিককে পৌর কর প্রদানে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনে জরিমানার ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে রাঙ্গামাটিতে পর্যটন খাতের উন্নয়নেও নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালার আলোচনার সারসংক্ষেপে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই শহরের বিভিন্ন স্থানের মেরামত কাজ সম্পন্ন হওয়া উচিত ছিল। বর্তমানে শহরের অনেক রাস্তা জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে এবং দ্রুত এ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা দেন তিনি। পাশাপাশি শহরের রাস্তায় গরুর অবাধ চলাফেরা রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।
তিনি আরো বলেন, ফিসারী বাঁধের নতুন সংস্কার দৃষ্টিনন্দন হলেও যথাযথ পর্যালোচনা ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা হলে ভবিষ্যতে এটি রাঙ্গামাটিবাসীর জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মতামত ও প্রস্তাবনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শেষ হয়।