রাজস্থলীতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কেউ বই পায়নি

105

॥ আজগর আলী খান ॥

নতুন বছরের কয়েকদিন কেটে গেলেও রাজস্থলী উপজেলায় পাঠ্যপুস্তক পায়নি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা; অন্য শ্রেণিতেও রয়েছে বই সঙ্কট। জানা গেছে বই উৎসবের বেশ কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও বই না পেয়ে অনেক খুদে শিক্ষার্থীর মন খারাপ। বর্তমানে তাদের সময় কাটছে মাঠেঘাটে খেলাধুলায় আর নানা চাচার বাড়ীতে বেড়িয়ে।

বাজার মডেল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মংচিংসাই মারমা এবার দ্বিতীয় শ্রেণিতে উর্ত্তীণ হয়েছে। বই উৎসবের দিন নতুন বই আনতে স্কুলে গিয়ে না পেয়ে বাড়ীতে এসে ফুস ফুসে কাঁদতে কাঁদতে তার মা কে বলছে মা সবাই বই পায়ছে আমি পায়নাই। অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে গিয়ে বই না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরে। বিষয়টি জানার পর স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় স্কুলে তাদের বই আসেনি। আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।

বাঙালহালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী পূর্বকোণ কে বলেন, স্কুলের বড় ভাইরা বই পেয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো কোন বই পায়নি। এ জন্য স্কুলে এসে ক্লাস করতে পারছিনা। তাই আমরা খেলাধুলায় সময় পার করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান, গতবছর বই বিতরণ ঠিক সময়ে হয়ছে। এবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির একটি বইও আসেনি। বছরের প্রথম সপ্তাহ পার হলেও তবুও তারা বই পেল না। নতুন বই পাওয়ার আনন্দ টা অন্য রকম। এ রকম হলে শিক্ষার্থীরা তাদের মনোযোগ হারিয়ে ফেলবে এতে কোন সন্দেহ নেই। দ্রুত এর সমাধান প্রয়োজন। রাজস্থলী বাজার মডেল সরকারি প্রাখমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলি বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনেই আমরা বই বিতরণ করেছি। তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বই দিতে পেরেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই নিতে এলে তাতের বই দিতে না পেরে অনেক কষ্ট পেয়েছি। তবে তাদের বই এখনো আমরা হাতে পাইনি। আশা করছি খুব শীঘ্রই বই পেয়ে যাব। তখন শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করতে পারবো। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাজেরুল ইসলাম জানান, এনসিটিবি থেকে নতুন বই না পাওয়ায়এমনটি হয়েছে। কয়েক দিনের ভিতরে সমস্যার সমাধান হবে। একই কথা বলেছেন রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তনু কুমার দাস।