|| রাজস্থলী প্রতিনিধি ||
রাঙামাটির প্রত্যন্ত অঞ্চল রাজস্থলীত উপজেলায় সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন উপজেলার নির্বাহী অফিসার শেখ ছাদেক। অত্যন্ত এ দুর্গম পাহাড়ী কৃষি নির্ভর এ উপজেলার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড এবং জনসেবায় তিনি রেখেছেন অসংখ্য অবদান। এলাকাবাসীর কাজ থেকে কুড়িয়েছেন প্রশংসার ফুল ঝুড়ি।
তিনি কক্সবাজার জেলা থেকে বদলী হয়ে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর যোগদান করেন ৩০ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের এ কর্মকর্তা রাজস্থলী উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসেবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আলাপচারিতায় তুলে ধরেন তার সফলতা ও চেলেঞ্জিং অভিজ্ঞতার কথা। তিনি সহজ ভাবে বললেন এ রাজস্থলী উপজেলা নিয়ে তার আরো অনেক পরিকল্পনা ছিল।দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি এই এলাকার রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট সহ অনেক উন্নয়ন কাজ করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। ৩নং বাঙালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান ঞেমং মারমার সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায়,পাহাড় ধ্বস রোধে ঝুকিপূর্ন এলাকা পরিদর্শন, জমি সংক্রান্ত জটিলতায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছুটে যেতেন তিনি।
অপর দিকে ২নং গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান উথান মারমা জানান, সরকারি সেবা নিতে এলে দ্রুত সময়ে কাঙ্খিত সেবা দেন।করোনাকালীন সময়ে ৩টি ইউনিয়নে ছুটে গিয়েছেন সরকারি ত্রান সহায়তা পৌঁছে দিতে।এনিয়ে সেবা গ্রহীতারাও বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন বলেও জানান এলাকাবাসী। এমনকি রোজা রেখেও দুর্গম পাহাড় বেয়ে ছুটে যান এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায়। সরকারি সকল সেবা পৌঁছে দিতে তিনি ছুটে যান জনসাধারনের দোড়গোড়ায়। ক্লান্তহীন ভাবে নিরলস কাজ করেছেন পাহাড়ী বাঙ্গালী সহ সকল ধর্ম বর্ণ ও সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের জন্য।
দায়িত্বপালন করতে গিয়ে কোন প্রকার বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে ইউ এন ও শেখ ছাদেক বলেন, রাজস্থলী অনেক সুন্দর একটি উপজেলা। এখানে পাহাড়ী বাঙ্গালীর মধ্যে সম্প্রীতির মিলন মেলায় পরিণত।এখানে কাজ করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখানে নানান শ্রেনী পেশার মানুষ বসবাস করে। কোন প্রকার বাধার সম্মুখীন নয়,বরং আমি শতঃস্ফুর্ত ভাবে কাজ করতে পেরেছি।আমি সৎ ভাবে নিজের কাজ ভেবে করে ফেলি কোন কাজ পেন্ডিং রাখি না। আমি সৎ ভাবে পরের উপকার হয় এমন কাজ করি। সম্প্রতি ইউ এন ও শেখ ছাদেক পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা শততার নিদর্শন, নির্ভরযোগ্যতা কর্তব্যনিষ্ঠাসহ কর্মী সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে আচরণ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে পারদর্শিতা সহ সরকারী ও দাপ্তরিক বিভিন্ন কার্যক্রমে রাজস্থলীবাসী মুগ্ধ হয়েছে। তিনি ভিজিএফ, ভিজিডি, খাদ্য সহায়তা প্রদানে অগ্রণী ভুমিকা রেখেছেন। সারা বিশ্বে বৈশ্বিক কোভিট-১৯ মহামারী আকার ধারন করেছে ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সাধারণ জনসাধরন স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত মাস্ক পরে চলার সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করে আসছেন।
রাজস্থলী উপজেলা নিয়ে ও জানালেন তার কিছু পরিকল্পনার কথা। এ উপজেলা টিকে পর্যটনবান্ধব হিসেবে উপস্থাপনে তার ছিল কিছু ব্যতিক্রমি উদ্যােগ। এ ছাড়া ট্রানজিট সড়ক যাহা নির্মান করছে সেনাবাহীর ২৬ ই,সি,বি, রাজস্থলী টু থেগামুখ হয়ে সরাসরি মিজোরাম ভারত পৌছানো সম্ভব হলে এই এলাকার নতুন পর্যটনসম্ভাবনার দ্ধার উন্মোচন হবে। আত্বসামাজিক উন্নয়ন আসবে এই এলাকার পাহাড়ী বাঙ্গালী সবার মাঝে। তিনি আরো বলেন,আমি পদোন্নতি নিয়ে বান্দরবান জেলার জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে বদলী হয়েছি। তিনি যেখানে থাকবেন সময় পেলে ছুটে আসবেন এ উপজেলায় এমন টা জানালেন ইউ এনও শেখ ছাদেক।