রাজস্থলী চন্দ্রঘোনা সড়কের দু’টি বেইলী সেতু ঝুঁকিতে ॥ জনমনে আতঙ্ক

77

॥ মোঃ আজগর আলী খান ॥

দশের সবচেয়ে আকষর্ণীয় রাঙ্গামাটির দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ রাঙুনিয়া কাপ্তাই উপজেলা। দীর্ঘ ২ দশকের বেশি সময় আগে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শফিপুর ও রাজস্থলীর কাপ্তাই খাল এলাকার দুইটি বেইলী সেতু এখনও মানুষের ভরসা। কাপ্তাই ও সীমান্ত সড়ক পর্যটকবাহী পরিবহনের চাপ, কাঠ-বাঁশসহ এসব এলাকায় উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে ভারী যানবাহন চলাচলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। প্রতিদিনেই ব্রিজ দুইটি দুই পাড়ে যানজটের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। দ্রুত বেইলী সেতুর পরিবর্তে স্থায়ী কংক্রিট সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
২০২০সালের মাঝামাঝি কাঠ বোঝাই একটি ট্রাক তিন নং বাঙালহালিয়া সফিপুর বেইলী সেতু পার হতে গিয়ে পাটাতন ভেঙ্গে আছড়ে পড়ে ঝিড়িতে। সে সময় চন্দ্রঘোনা, বাঙালহালিয়া ও কাপ্তাই সহ রাঙ্গামাটির সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল।

আপদকালীন সংস্কার করে বেইলী সেতুটি আবারও চালু হলেও দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমেনি। সংকীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ সেতুর উপর ভারী পণ্যবাহী পরিবহন উঠলে পারাপার হতে লাগছে দীর্ঘ সময়। এতে করে প্রতিদিন লাগছে যানজট, ঘটছে দুর্ঘটনাও। একই অবস্থা রাজস্থলীর কাপ্তাই খাল এলাকার বেইলী সেতুও।রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্য অনুসারে জানাযায়, রাঙামাটি, চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই রাজস্থলী সড়কে প্রতিদিন কয়েক শত ভারী ও হালকা পরিবহন যাতায়াত করে। যার অধিকাংশই সীমান্ত সড়কে পাথর বোঝাই, ইট বোঝাই কাঠ-বাঁশ ও কৃষিজ পণ্যবাহী পরিবহন। বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত বেইলী সেতুর পরিবর্তে স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের দাবি পরিবহন চালকদের। এ দিকে সড়কের পাশে বেলীসেতু সংলগ্ন সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়ছে। এতে লেখা আছে ঝুকিপূন্য বেলী সেতু পাচঁ টনের অধিক মালামাল পরিবহন নিষেধ। প্রতিদিন বাস্তবে দেখায়ায় সীমান্ত সড়কে কাজ কাজ করার জন্য ১৫/২০ টনের অধিক পাথর, ইট বোঝাই ট্রাক ঝুকিপূন্য সেতু দিয়ে চলাচল করছে। এমন কি দুর্ঘটনাও ঘটে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-অর্থনৈতিক পাইপ লেন হিসেবে পরিচিত চন্দ্রঘোনা, রাইখালী রাঙামাটি রাজস্থলী সড়ক প্রশস্তকরণ ও সেতুর আধুনিকায়নে দ্রুত বাস্তবায়ন চায় স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন, রাজস্থলী চন্দ্রঘোনা সড়কে ঝুকিপূন্য বেলীসেতু দ্রুত সড়িয়ে সেতু নির্মাণ করা প্রয়োজন হয়ছে। এ বিষয়ে আমি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে বিস্তারিত আলাপ করবেন বলে জানান।