রুমায় এক গ্রামবাসীর গলিত লাশ উদ্ধার

111

॥ রুমা প্রতিনিধি ॥

বান্দরবানের রুমায় দুর্গম এলাকা থেকে একটি গলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া এ গলিত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লালরামচনহ্ বম ওরফে লারাম(৪৩)। সে বগালেক পাড়ার সাংরিয়াম বমের বড় ছেলে ও পর্যটন স্পট বগালেকে কোটেজ ও খাবার হোটেল ব্যবসা করেন।

শুক্রবার (১০ফেব্রুয়ারী) দুপুরে রুমা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হারমন পাড়া থেকে দার্জিলিং পাড়া যাওয়া পথে পার্শ্ববর্তী রুনতং খুমী পাড়া পাহাড়ে একটি খাদ থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে- রুমা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) মোহাম্মদ মনির হোসেন নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক পাড়াবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় বগালেক পাড়া গীর্জায় কীর্তন চলাকালে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট( কেএমএফ)র ইউনিফর্ম পরিহিত হাতে অস্ত্র দিয়ে একটি দল গীর্জায় প্রবেশ করে লালরামচনহ বম, তাঁর পিতা সাংলিয়াম বম, স্ত্রী নুজিং বমসহ পাঁচজনকে ডেকে নিয়ে যায় অজ্ঞাত স্থানে। পরে পিতা ও স্ত্রীসহ পাঁচজনকে গভীর রাতে চারজনকে ছেলে দিলেও লালরাম বমকে ছাড়েনি। তখন থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না পরিবারের লোকজনের কাছে।

নিহত লালরাম বমের ছোট ভাই লালকিম বম বলেন আজ শুক্রবার (১০ ফেব্রূয়ারী) সকালে জানতে পারি, একটি গলিত লাশ সন্ধ্যান পাওয়া গেছে, পুলিশের একটি দল লাশ উদ্ধারের যাচ্ছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগালেক পাড়া নিয়ে আসার পর আমার ভাবী বড় ভাইয়ের লাশ হিসেবে সনাক্ত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালরাম বম জনসংহতি সমিতি রুমা উপজেলায় সক্রিয় কর্মী ছিল। তথ্য আদান প্রদান করার সন্দেহে লালরাম বমকে তুলে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে লালরামের আত্মীয় স্বজন দাবি, গত তিন চার বছর আগে থেকে জেএসেসের সাথে যোগাযোগ নেই লালরাম বমের।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন লাশ উদ্ধার করে বিকেলে থানায় পৌঁছেছে।লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য আগামীকাল জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। অন্যান্য আইনী প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।