লংগদুতে চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেফতার

17

।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের মুর্শিদাবাদ এলাকায় চার সন্তানের জননীকে জোরপূর্বক ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বখাটে মোটরসাইকেল চালক সোহাগ (৩৮)-এর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সোহাগ ওই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

ভিকটিম জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি তার ভাইয়ের মেয়েকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ধানক্ষেতের মধ্যে সোহাগ পেছন থেকে তাকে আক্রমণ করে। মুখ চেপে ধরে ধস্তাধস্তির পর ধানের জমিতে ফেলে দেয়। ভিকটিম হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে কল দেওয়ার চেষ্টা করলে সোহাগ মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মাটির গর্তে লুকিয়ে ফেলে। এরপর ভিকটিমের ওড়না কেড়ে নিয়ে তার মুখ বাঁধার চেষ্টা করলে তিনি কৌশলে ধর্মের দোহাই দিয়ে চিৎকার করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে।

ভিকটিমের মা বলেন, “আমার মেয়ের সাথে যেটা হয়েছে, তা যেন আর কারো মেয়ের সাথে না হয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

ভিকটিমের স্বামী জানান, “আমি তখন বাজারে ছিলাম। খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে দেখি আমার স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তাকে স্থানীয় ফার্মেসিতে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য লংগদু সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে এলাকার কিছু নেতা আমাদের হাসপাতাল যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং বিচার না করার জন্য চাপ দিচ্ছে। আমি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু বিচার চাই।”

ভিকটিমের ভাই ও বাবা বলেন, “এই ঘটনা আমাদের পরিবার ও সমাজে অপমানের কারণ হয়েছে। আমরা সঠিক তদন্ত ও অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “ভিকটিম ও তার পরিবারের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। ভিকটিম ও তার পরিবার বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, তাই তাদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।