॥ লংগদু প্রতিনিধি ॥
সোমবার (২১ জুন) লংগদর রাজনগর ৩৭বিজিবি জোনের উদ্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জোন কমান্ডার লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম তাজ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল অফিসার ক্যাপ্টেন ফকরুল ইসলাম রাজন, সহকারী পরিচালক (এডি) জামাল উদ্দিন।
জোন কমান্ডার তার বক্তব্যে বলেন, পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে বিজিবি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। পাহাড়ে বসবাসকারী সকল নাগরিকের অবস্থানটা সুন্দর দেখতে চাই। প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার বাস্তবায়নের জন্য, উন্নয়নের জন্য এবং কল্যাণের জন্য যা করা দরকার তার সবই করছে সরকার। পাহাড়ের সকল নাগরিকের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সরকারের এটাই প্রত্যাশা। সরকারের সাংবিধানিক এই প্রত্যাশা বাস্তবায়নে সকলে মিলে কাজ করতে হবে।’
জোনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকার সমস্যার কথা তুলে ধরেন। গুলশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু নাছির বলেন, উপজেলার গাঁথাছড়া বড়কলোনী এলাকায় একটা সেতু নির্মাণ হলে উপজেলার পূর্বপাড়ের তিনটি ইউনিয়নের সাথে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ গড়ে উঠবে।
বগাচত্বর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, গাউছপুর এলাকার একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত। লোকজন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ব্রিজ দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও এলজিইডি দপ্তরকে জানানো হয়েছে। গত এক বছরেও নতুন ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নাই।
ভাসান্যাদম ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, এলাকার বেশ কিছু রাস্তা ও ব্রিজে নির্মাণের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া ভাসান্যাদম ইউনিয়নের খোকসাপাড়া এলাকার ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এটা পুণনির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সোলার প্রজেক্টে পাড়া কেন্দ্রের শিক্ষকদের মাধ্যমে বিদ্যুত সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের তালিকা নেওয়া হচ্ছে। আবার ইউপি চেয়ারম্যানরাও তালিকা দিয়েছে। ফলে এখানে একটা সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে।
আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী বলেন, আমতলী ইউনিয়নের পূর্বপাশে এক কিলোমিটার দূরত্বে বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হলেও্ এখন পর্যন্ত আমতলী ইউনিয়নে বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়নি। আমতলী ইউনিয়নের জনসাধারণ এখনো বিদ্যুত সুবিধাবঞ্চিত।
এ ছাড়া মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বগাচত্বর ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম, আমতলী ইউপি সদস্য নুর তৌহিদ, গুলশাখালী ইউপি সদস্য সফুর উদ্দিন প্রমুখ।
রাজনগর বিজিবি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল তাজুল ইসলাম তাজ বক্তব্যে তিনি আলো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জাতিগোষ্টির বসবাস। এখানে যারা বসবাস করনে সকলেই পার্বত্যবাসী এককথায় পাহাড়ী। এখানে কেউ কাউকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। আমরা সকলে মিলে সরকারের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি। আমরা যারা নিরাপাত্তা ও আইন শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত আছি আমরা আপনাদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে সকল জনকল্যাণ মূলক ও উন্নয়নের কাজ করতে চাই।