॥ লামা প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের লামা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সামশুল আলম নামে এক কৃষকের সৃজিত বাগানের ১২ হাজার বনজ গাছ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষ।
শুধু তাই নয়, এ সময় প্রতি পক্ষের লোকজন কৃষকের বসতঘরটিও ভেঙ্গে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কৃষকের প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতিসাধিত হয়। উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি ধুংচা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার বিকালে এ ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে স্থানীয় আর্মি ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক। অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীরা হলো- চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা ফজল করিমের ছেলে আক্তাররুজ্জামান বাবুল ও আবদুর রব এবং ধুংচা পাড়ার বাসিন্দা ফজল করিমের ছেলে নুরুল আবচার। বিবাদীরা একে অপরের আপন ভাই হন।
অভিযোগে জানা যায়, সরই ইউনিয়নের বাসিন্দা আহমদ কবিরের ছেলে সামশুল আলমের নামে ৪০৭নং জি হোল্ডিং মূলে পাঁচ একর দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর জমি রয়েছে। এ জমিতে বহু কায়িক ও অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগান সৃজনসহ বসতঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছেন কৃষক পরিবার।
সম্প্রতি ওই জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই এলাকার নুরুল আবচারগংদের। তারা এ জমি তাদের বলে দাবী করে দখলে নিতে বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা চালায়। এতে পেরে না উঠে এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার ভোর ৩টার দিকে নুরুল আবচার ও তার দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন অস্ত্রে সস্ত্রে সংঘবদ্ধ হয়ে কৃষক সামশুল আলমের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় তারা কৃষক পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সৃজিত বাগানের দুই বছর বয়সী প্রায় ১২ হাজার ম্যালেরিয়া, একাশিয়া ও বেলজিয়াম গাছ কেটে দেয়। কৃষক সামশুল আলমের সৃজিত বাগানের গাছ কাটার সত্যতা নিশ্চিত করে সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উল আলম বলেন, খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নুরুল আবচারগং ওই জমি তাদের বলে দাবী করেন। লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গাছ কাটার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।