শতভাগ ধূমপানমুক্ত হসপিটালিটি গঠনে রাঙামাটিতে সচেতনতা সভা

181

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

হোটেল ও রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোন রাখার বিধান বাতিল করে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে, সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশ করা উপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাঙামাটির হোটেল- রেস্তোরাঁ মালিকরা। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহযোগিতায় ও এডভ্যান্সমেন্ট অব হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট (আহার) বাংলাদেশ আয়োজিত ‘‘শতভাগ ধূমপানমুক্ত হসপিটালিটি গঠনে হোটেল রেস্তোরাঁ মালিকদের ভূমিকা’’ ‘শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন আহ্বান জানান বক্তারা।

এ সময় উল্লেখ করা হয়, রেস্তোরাঁয় একটি স্থানে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট করে দেয়া হলেও, সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়া ধোঁয়ায় পরোক্ষ ধূমপানের কবলে পরছেন অধূমপায়ীরা। এমনকি, পরোক্ষ ধূমপানের ফলে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৮৫% পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রসাশক জনাব এস এম ফেরদৌস ইসলাম বলেন, তামাকের নেপথ্যে যে একটা চক্র কাজ করছে সেটা আমদেরকে রুখতে হবে। আমরা সকলে এখানে সমবেত হয়েছি এটা বন্ধ করতে প্রতিজ্ঞতাবদ্ধ হতে হবে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন সম্ভবপর বলে আমি মনে করি।
রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙ্গামাটি সম্পাদক জনাব আনোয়ার আল হক বলেন, ধূমপায়ীরা তার আপনজনকেও পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির মুখে ফেলছেন।

জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফয়সাল বলেন, ধূমপান মাথা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত ধূমপান ক্ষতি করে থাকে। সভার সভাপতি এবং বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও আহার বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম. রেজাউল করিম সরকার রবিন জানান, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে রেস্তোরাঁকে পাবলিক প্লেস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি ‘ধুমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ এর বিধান রাখা হয়েছে। যা পাবলিক প্লেসকে শতভাগ ধুমপানমুক্ত রাখার ক্ষেত্রে অন্তরায়।

বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও গ্রীণভ্যালী রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী নেকবর আলী তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘স্মোকিং জোন’ থাকা সত্ত্বেও মানুষ রেস্তোরাঁতে গিয়ে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। এতে করে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে, স্বাস্থ্য ক্ষতিও হচ্ছে । তাই ’স্মোকিং জোন’ আইন করে বন্ধ করা উচিত ।

শারমিন আক্তার রিনি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম। প্রবন্ধে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হয় ৩ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ। যার মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ শুধুমাত্র রেস্তোরাঁয় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটি সম্পাদক আনোয়ার আল হক, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মহসিন রানা এবং প্রতিবর্ন্ধী স্খুলের পরিচালক নুরুল আবছার।
সভার সভাপতি এবং বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও আহার বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম. রেজাউল করিম সরকার রবিন জানান, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে রেস্তোরাঁকে পাবলিক প্লেস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি ‘ধুমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ এর বিধান রাখা হয়েছে। যা পাবলিক প্লেসকে শতভাগ ধুমপানমুক্ত রাখার ক্ষেত্রে অন্তরায়।

সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি দ্রুত পাশ করে রেস্তোরাঁসহ সকল পাবলিক প্লেসকে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান নিষিদ্ধ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান রাঙ্গামাটির হোটেল রেস্তোরাঁ মালিকরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৬০ জন নেতৃবৃন্দ।