ঢাকা ব্যুরো, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হলে স্বাধীনতা বিরোধীদের সংগঠন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে সভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, এডভোকেট দিদার আলী, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান শাহীন রেজা নূর ও শমী কায়সার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি কার্যকর করেছে সরকার। এর মধ্যদিয়ে জাতি কিছুটা কলঙ্ক মুক্ত হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যদিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। দেশ-বিদেশে তারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে তা বাজেয়াপ্ত করতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। এখন তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার ঐক্যব্ধ হয়ে রাজকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশকে রাজাকার মুক্ত করতে হবে।
এস এ মালেক বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ বলতে শুধুমাত্র জাতীয় সঙ্গীত ও পতাকার পরিবর্তন বুঝায় না। স্বাধীন বাংলাদেশ বলতে বুঝায় স্বৈরতন্ত্রের বিপরীতে গণতন্ত্র। সা¤প্রদায়িকতার বিপরীতে অসাম্প্রদায়িকতা। ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির বিপরীতে ধর্ম নিরপেক্ষতা। অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিপরীতে সামাজিক ন্যায় বিচার।
তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ যতদিন ওই সব মূল্যবোধের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব স্বার্থক হবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা প্রায় ভুলে গেলেও স্বাধীনতার শত্রুরা কিন্তু তাদের যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। দেশকে বিপরীতমুখী করার সকল প্রয়াস নিরন্তন চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো অফিস।