৯ অক্টোবর ২০২২, ঢাকা ব্যুরো অফিস, দৈনিক রাঙামাটি।
স্টাফ রিপোট: পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু জাতিগত দ্বন্দ্বের অবসানের লক্ষ্যে আজ থেকে ২৫ বছর আগে প্রথম বার ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নির্বাচনি ইস্তেহার মতে ১৯৯৭ সালে স্থানীয় শান্তির-সৃঙ্খলার লক্ষ্যে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’ তথা শান্তিবাহিনীর সাথে একটি চুক্তি করেন। যা পরে শান্তিচুক্তি নামে জনশ্রুতি পায়। দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্য শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিতার সেই শান্তিচুক্তির সেরা সফলতা এসেছে এবছর পর ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, সাফ কিশোরী ফুটবল লীগে বাংলাদেশের মেয়ে খেলোয়াররা চ্যাম্পিয়ন হয়ে এর প্রমান দিলো।
বিজয়ী এ দলের ৫জন খেলোয়ারই পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার জাতিগত সংখ্যালঘু চাকমা সম্প্রদায়ের মেয়ে। বলতে দ্বিধা নেই, শান্তিচুক্তি না হলে জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরর মেয়েরা আজ খেলায় অংশগ্রহনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতো। ফলে আন্তর্জাতিক এ টুর্নামেন্টে খেলায় অংশগ্রহনের সুযোগ পেতোনা। কেননা, সাফ বিজয়ী দলের পাঁচ জনই জাতিগত সংখ্যালঘু পার্বত্য (নৃ-গোষ্ঠি) উপজাতি চাকমা সম্প্রদায়েরর মেয়ে। তাই বলতে হয় শান্তিচুক্তির ২৫ বছরে যে সকল সফলতা এসেছে তার মধ্যে সেরা সফলতা বা উপহার পাহাড়ি পাঁচ কন্যা রাঙ্গামাটির রূপনা চাকমা ও রিতুপর্ণা চাকমা, খাগড়াছড়ির মণিকা চাকমা এবং যমজ দুই বোন আনাই মগিনী ও আনুচিং মগিনী।
একই সাথে তাদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নেপথ্যে থেকে ধৈর্যের সাথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে রূপনাদের অভিবাবকের দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই মহান ব্যাক্তি মঘাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বীরসেন, কোচ সুইলা মং মারমা ও সহকারী কোচ শান্তি মনি চাকমাকে জাতির পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিন্দন ও ধন্যবাদ জানাই ।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান
ঢাকা ব্যুরো প্রধান, দৈনিক বাঙামাটি।