শিক্ষার মানোন্নয়নে দাতা সংস্থাগুলোও কাজ করেছে : বৃষ কেতু চাকমা

495

p....4

স্টাফ রিপোর্টার, ২৩ নভেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী প্রান্তিক শিশুদের শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত ও শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি এনজিও ও দাতা সংস্থাসমূহ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে দিন দিন পার্বত্য এলাকায় শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশ উন্নয়নে শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই এবং প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া কখনও সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ে উঠতে পারে না। একমাত্র শিক্ষিত জাতিই পারে দেশকে সমৃদ্ধশালী করতে। তিনি বলেন, স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশিকা এ এলাকার পিছিয়ে পড়া শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার জন্য যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
রোববার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের সহযোগিতায় ও স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের বাস্তবায়নে রাঙামাটি কাউখালীর বাকছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সুবিধার মাধ্যমে প্রান্তিক শিশুদের সহায়তাকরণ বিষয়ক সভায় প্রধান  অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান একথা বলেন।

আশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মফিজুল ইসলাম, কাউখালী উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কৃপা চাকমা, সেভ দ্য চিলড্রেনের শিশুর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের পরিচালক মেহেরুন্নাহার স্বপ্না, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিনাকী চাকমা, বাকছড়ি প্রাথমকি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শান্তি কুমার চাকমাসহ কাউখালী উপজেলার কার্বারি, মহিলা মেম্বার, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আশিকার প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কক্সী তালুকদার।

তিনি বলেন, শান্তিচুক্তি মোতাবেক পার্বত্য অঞ্চলের নৃ-গোষ্ঠি শিশুদের সম্প্রদায়ভিত্তিক নিজ নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে সরকার খুবই আন্তরিক বলেই মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ জেলার প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলে সব বৈরিতা দূর হবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রকৃত শিক্ষা থেকে যেন কেউ বাদ না যায় সেজন্য সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান চেয়ারম্যান।

সভাপতির বক্তব্যে আশিকার নির্বাহী পরিচালক বলেন, রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বাকছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে তা কোন ঠিকাদারকে দিয়ে করা হবে না। স্বচ্ছ ও মজবুতভাবে নির্মাণের লক্ষ্যে আশিকা এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিনিধি সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এ বিষয়ে তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, এ জেলার শিশুদের জন্য শিক্ষাবান্ধব স্কুল নির্মাণের কাজটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে দাতা সংস্থারা বৃহৎভাবে আগামীতে আরো এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে।

সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান।