॥ আলমগীর মানিক ॥ বৈচিত্র্যময় ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠির জীবনধারা নির্ভর পার্বত্য রাঙামাটি জেলায় সকল সম্প্রদায়ের মাঝে নিজেদের সর্বোচ্চটুকু সেবা প্রদান করে পাহাড়বাসীকে আতœকর্মস্থানের দিকে ধাবিত করে অনন্য অবদান রাখছে ইসলামী ব্যাংক রাঙামাটি শাখা। বেসরকারি একটি ব্যাংকের এই ধরনের উদ্যোগ শুধুমাত্র প্রশংসনীয়-ই নয় দেশের প্রতি দায়িত্বশীলতারও পরিচয় বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধূরী। বুধবার বিকেলে ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন শতাধিক মহিলা সদস্যদের আয় বর্ধকমূলক কৃষি প্রশিক্ষণ প্রধান ও তাদের মেধাবী ছেলেমেয়েদের শিক্ষা উপহার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র এসব কথা বলেন।
ইসলামী ব্যাংকের রাঙামাটি শাখার ম্যানেজার শেখ মোহাম্মদ ওমর এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা থেকে আগত প্রিন্সিপাল অফিসার ও প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আখতারুজ্জামান, এসবি আই এম অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। ইসলামী ব্যাংক রাঙামাটি শাখার সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল হক এর পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে দরিদ্র পরিবারের ২৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপহারের চেক তুলেদেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে, নামে মাত্র ইসলামী ব্যাংক হলেও সকল সম্প্রদায়ের গ্রাহকরা এই ব্যাংক থেকে সমানভাবে সেবা পাচ্ছে। এবং আজকের উপস্থিতি গ্রাহকবৃন্দদের দেখে সেটি প্রমানিত হচ্ছে। এজন্য ইসলামী ব্যাংকের ভূয়সী প্রশংসা করে মেয়র বলেন, ইসলামী ব্যাংকের অনুকরনীয় এই দৃষ্টান্ত আমাদের এলাকায় অবস্থিত অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি অনুসরন করতো তাহলে পাহাড়ের প্রার্ন্তিক মানুষ আরো সচ্ছল হতো এতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনারা ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নের প্রচেষ্ঠা চালাবেন। এতে করে আপনাদের পাশে দাড়াঁবে ইসলামী ব্যাংক। কিন্তু প্রশিক্ষণ নিয়ে ঘরে গিয়ে সব ভূলে গেলে ভবিষ্যতে এই ধরনের সুযোগ থেকে হয়তো বঞ্চিতই থেকে যাবেন। তাই প্রশিক্ষণ লব্দ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজেরা স্বাবলম্বি হয়ে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও আপনারা অবদান রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করছি। এরআগে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের শতাধিক মহিলা গ্রাহককে আয়বর্ধন মূলক কৃষি প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুইঘন্টাব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কৃষিজ উপায়ে কিভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায় এবং নিজেদেরকে কিভাবে উদ্যোগী করে গড়ে তুলতে হয় সে বিষয়ে সম্যক ধারনা প্রদান করে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন ভেটেনারী সার্জন ডা: দেবরাজ চাকমা ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হারূন অর রশিদ।