“জাতির বিবেক আজ শ্রেণিকক্ষে ধর্ষিত! এ লজ্জা কার ?”এমন স্লোগানে গত ১৭ আগস্ট বরগুনার বেতাগী উপজেলার পূর্ব করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকাকে শ্রেণিকক্ষে গণধর্ষণের প্রতিবাদে এবং সকল আসামীকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে লংগদু উপজেলার শিক্ষক সমাজ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক সমিতির ব্যানের এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার, বিকাল তিনটায় উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি স্বর্নকান্তি চাকমা, সহ সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী শিক্ষক সমিতির নেত্রী সুচিত্রা চাকমা প্রমূখ । মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে অংশ গ্রহণ করেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম।
মানববন্ধনে বক্তার বলেন, যে শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। সে কারিগর আজ নির্যাতিত লাঞ্চিত ধর্ষিত। এটা শুধু শিক্ষকের অপমান নয়, জাতির জন্যও লজ্জার বিষয়। যে শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে শিশুদের মানুষ হওয়ার পথ প্রদর্শকের শিক্ষা দেন, সেই বিদ্যালয়ে সামজের কিছু অমানুষ শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করে নগ্ন উল্লাসে মত্ত। এখন পর্যন্ত সকল আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি । এদ্বায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এড়াতে পারে না ।
শিক্ষক নেতারা ক্ষোভের সাথে আরো বলেন, সম্প্রতি বগুরায় মা-মেয়েকে নির্যাতনকারী ও ধর্ষণকারীর শাস্তির দাবিতে সারা দেশ যেভাবে উত্তাল হয়েছে কিন্তু শিক্ষিকার ধর্ষনের প্রতিবাদে শুধু শিক্ষক সমাজই রাস্তায় দাড়িয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষক নেতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন। স্বারকলিপিতে শিক্ষক নেতারা উল্লেখ করেন, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। একজন শিক্ষকের উপর এমন অমানবিক নির্যাতন ও ধর্ষনের ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত ।
আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমরা সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পাঠদান করে থাকি । আজ আমরা এতটাই নিরাপত্তাহীন যে, স্বামীকে শ্রেণিকক্ষে আটকে রেখে শিক্ষিকাকে ধর্ষন কার হয়। শিক্ষকদের নিরাপত্তার জন্য ‘শিক্ষক সুরক্ষা আইন’ প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমাজ ।