শুধু সাধারণ মানুষই নয় সন্ত্রাসী চক্র পাহাড়ে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদেরও হত্যা করছে: এমপি দীপংকর

404

॥ অর্ণব মল্লিক ॥

পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি সন্ত্রাসী চক্র সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও নির্মমভাবে হত্যা করছে। সন্ত্রাস করে তারা পার্বত্যাঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। জনগণকে ঐকবদ্ধ্যভাবে এ সকল খুনি অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নাধীন বারঘোনীয়া তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া খাল উন্নয়নে টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৯৯নং আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।

প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রাঙামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মেদ শফির সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ও কাপ্তাই আওয়ামীলীগ সভাপতি অংসুইসাইন চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি দীপ্তিময় তালুকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত বিকাশ তনচংগ্যা, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন মিলন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান, উপজেলা সিনিয়র প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা

আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলীল, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য সাখাওয়াত হোসেন রুবেলসহ আওয়ামীলীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এর অর্থায়নে কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন এর রেশম বাগান তনচংগ্যা পাড়া হতে একই ইউনিয়ন এর কয়লার ডিপু কর্ণফুলী নদীর মুখ পর্যন্ত প্রায় ৪কিঃ মিঃ ছড়ার উপর ১কোটি ৭৪লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে জানান কাপ্তাই উপজেলা সিনিয়র প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী।