॥ সৌরভ দে ॥
৪নং ওয়ার্ডের একমাত্র খেলার মাঠ এডিসি কলোনীর সবুজ সংঘ মাঠে বর্ষাকালীন উন্মুক্ত ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর।
এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌছানোর পর হিল ক্রিকেট একাডেমীর পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হাজী মো. মুছা মাতব্বর ও বিশেষ অতিথি হাজী ছলিম উল্ল্যাহ সেলিমকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর ২২লক্ষ টাকা ব্যায়ে মাঠ সংস্কারের অংশ হিসেবে ফিতা কেটে সিঁড়ি, ড্রেন, ক্রিকেট পিচ ও গোলবারের উদ্বোধন করেন হাজী মুছা মাতব্বর।
সবুজ সংঘ মাঠের সকল ফুটবল খেলোয়ারের আয়োজেন টুর্ণামেন্টের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সবুরের সভাপতিত্বে ও অজিত শীলের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মুছা মাতব্বর। বিশেষ অতিথি ছিলেন- সানরাইজ ক্লাবের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ হাজী ছলিম উল্ল্যাহ সেলিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সাইফুল আলম রাশেদ।
এসময় ডিস্ট্রিক্ট ফুটবল একাডেমির পরিচালক ওয়াশিংটন চাকমা, সবুজ সংঘ ক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল জলিল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম, সদস্য হুমায়ুন কবির, ফজলুর রশিদ সেলিম, নাছির উদ্দিন সোহেল, সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান, আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল মোমেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভার পর অতিথিরা প্রথম খেলায় অংশ নেওয়া সান স্টার ও আনিস ইয়াং এর খেলোয়ারদের সাথে পরিচিত হন। এরপর সান স্টার ও আনিস ইয়াং টুর্ণামেন্টের প্রথম খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার নির্ধারিত সময়ে কোন দলই গোল করতে না পারায় খেলাটি গোল শূন্য ড্র হয়।
প্রসঙ্গত- রাঙামাটির তবলছড়ি এলাকার একমাত্র খেলার মাঠ হল এডিসি কলোনীর সবুজ সংঘ মাঠ। এ মাঠে খেলাধুলা করে রাঙামাটি জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে খেলেছেন রাঙামাটির অনেক সাবেক-বর্তমান খেলোয়াড়রা। ফুটবল, ক্রিকেটসহ ছোটখাটো বিভিন্ন খেলার আয়োজনে মাঠটি সরগরম থাকতো সারাবছর জুড়ে। কিন্তু ২০১৭ সালের ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসে মাঠটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খেলাধুলার আয়োজন থেকে বঞ্চিত হয় স্থানীয় খেলোয়াড়রা। হতাশা চেপে বসে স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠক ও ক্লাবগুলোর মধ্যে।
এরপর রাঙামাটির ক্রীড়াঙ্গনের জন্য আন্তরিক ক্রীড়া সংগঠক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক, জেলা পরিষদের সদস্য ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর এগিয়ে আসেন। তিনি জেলা পরিষদের মাধ্যমে মাঠটির ড্রেনেজ ও মাটির কাজ সম্পন্ন করে খেলার উপযোগী করে গড়ে তোলেন। আবার প্রাণ ফিরে পায় তবলছড়ির একমাত্র খেলার মাঠটি। স্থানীয় খেলোয়াড়দের পদচারনায় মেতে উঠে মাঠটি।
তারপরও যেন মাঠটির সমস্যা শেষ হচ্ছিলো না। আবার এগিয়ে আসেন মুছা মাতব্বর। তিনি এবার মাঠটির যাতায়াতের জন্য সিঁড়ি, মাঠে ক্রিকেট প্র্যাকটিসের জন্য কংক্রিটের পিচ, দুইটি গোলবার ও মাঠে পানির সুব্যবস্থার জন্য গভীর নলকূপ বসিয়ে মাঠে আরো প্রাণ ফিরিয়ে আনেন।