॥ জুরাছড়ি প্রতিনিধি ॥
সভ্যতা থেকে যেনো এখনও অনেক দূরে জুরাছড়ি উপজেলার দূর্গম মৈদং এবং দুমদুম্যা ইউনিয়ন। নেই যোগাযোগের সুব্যবস্থা, নেই মোবাইল নেটওয়ার্কও। যোগাযোগে প্রায় সকল ক্ষেত্রেই পিছিয়ে রয়েছে এই দুই ইউনিয়ন। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল কর্মসূচিতে থেকে যেন বঞ্চিত এই এলাকাগুলো। শুধু তাই নয়, সরকারি সুযোগ সুবিধা নিতে হলে এসব এলাকা থেকে তিন দিন পায়ে হেঁটে জুরাছড়ি উপজেলা সদরে আসতে হয়।
এলাকাবাসীর দাবি, অন্তত: মোবাইল নেটওয়ার্ক ও যোগাযোগের ব্যবস্থাটুকু থাকলে এতো ভোগান্তি পোহাতে হতো না তাদের। তারা বলেন, সড়ক যোগাযোগের দুর্গমতার না থাকলে এখানকার মানুষ উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করে অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। গত ১৯ অক্টোবর জুরাছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা তিনদিনের মৈদং ইউনিয়নে চলমান উন্নয়ন মূলক কাজ পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী এসব সমস্যার কথাগুলো তুলে ধরেন।
সুরেশ কুমার চাকমা জানান, এ দুই ইউনিয়নের মানুষ যেমনি যোগাযোগের ক্ষেত্রে অনুন্নত তেমনি শিক্ষার ক্ষেত্রে ও পিছিয়ে। তাই উন্নয়ন যোগাযোগ ঘটলে সকলক্ষেত্রে পরিবর্তন হবে।
অপরদিকে মৈদং ইউনিয়নে ডানে তেছড়ি গ্রামে রয়েছে একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষকেরা জেলাপরিষদ কর্তৃক ১৫০০ টাকা ভাতা নিয়ে নিয়মিত পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টি সরকার জাতীয়করণের অন্তর্ভুক্ত করবে কিনা এমন অনিশ্চয়তা দিন পার করছে। বর্তমান সরকার শিক্ষার মানউন্নয়নের জন্য সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য অঞ্চলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো দৃশ্যমান করে দিচ্ছে। তাই এসব এলাকার শিশুরা যাহাতে কোন প্রকার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না থাকেন সেজন্য এসব বিদ্যালয় সরকারি করণ করার জন্য শিক্ষক এবং এলাকাবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন।