সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিশেষ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে: দীপংকর তালুকদার এমপি

510

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

“মুজিব বর্ষের সফলতা, ঘরেই পাবেন সকল ভাতা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে জাতীয় সমাজ সেবা দিবস পালিত হয়েছে। রোববার (২ জানুয়ারী) সকালে জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের আয়োজনে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি ঘিরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সভায় সমাজ কল্যাণ বিভাগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য প্রবর্তক চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া ও সুবির চাকমা। এ সময় জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ওমর ফারুক এবং প্রতিবন্ধী স্কুল ও পূর্ণবাসন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ এবং দূরারোগ্য রোগীদের চিকিৎসার খরচ প্রদানের বিষয়টিকে সরকার আধুনিকিকরণের মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তি লাঘব করেছে। এতে সুবিধাভোগীরা ঘরে বসেই তাদের ভাতা পাচ্ছে। তিনি বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিশেষ কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে, এতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ এবং অসচ্ছল পরিবারগুলো এখন টানাপোড়ন থেকে বেরিয়ে এসেছে, সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় দেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। সমাজের সকলে যাতে সমান সুযোগ পায় এবং সরকারের কল্যাণমূলক কর্মকান্ড থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সকলের নজর রাখতে হবে।

আলোচনা সভা পর ২৩জন রোগীকে জনপ্রতি ৫০হাজার করে মোট ১১লাখ ৫০হাজার টাকা, ১৭০জন গরীব, অসহায় পরিবারকে জনপ্রতি তিন হাজার ৫০০টাকা করে মোট পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত গরীব এবং প্রতিবন্ধী ১৭০জন শিক্ষার্থীতে জনপ্রতি তিন হাজার ৫০০টাকা করে মোট পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

এছাড়াও জেলা সমাজ কল্যাণ কমিটির তহবিল হতে ৫৪জনকে শিক্ষা, চিকিৎসা, মেয়ের বিবাহ এবং আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের এককালীন সাহায্য হিসেবে মোট তিন লাখ ৭৪হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।