চাকুরীর ভয় দেখিয়ে অধীনস্ত নিন্মবেতনভূক নারী কর্মচারীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। ধর্ষিতা নিজে কর্তৃপক্ষ বরাবরে এই অভিযোগ করলেও এখনও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানা গেছে। চাকরি চলে যাওয়ার ভয় ও লোকলজ্জায় প্রথমদিকে নিত্যদিন ধর্ষিত হয়েও মুখ খুলতে সাহস পাননি বলে জানান তিনি।
বেকার স্বামী, ছেলেমেয়ের আহার ও পড়ালেখার খরচের দিকে তাকিয়ে নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করা ছাড়া তার গত্যান্তর ছিল না। অবশেষে নির্যাতন মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয় বোর্ডের এই চতূর্থ শ্রেণির এই নারী কর্মচারী নিরবতা ভেঙে বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান বরাবরে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ধর্ষিতার অভিযোগ, প্রতিকার না হওয়ায় আমার চরিত্রে কলঙ্কের দাগ লেপন করা উপ সহকারী এখনও বহাল কবিয়তে মাথা উচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মুঠোফোনে আলাপকালে ধর্ষিতা কান্না জড়িক কন্ঠে এমন অনুযোগ করেন।
ধর্ষিতা সিএইচডিবির চেয়ারম্যানকে লিখিত অভিযোগে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ছোট্ট একটি পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিদিন অফিসে পৌঁছার আগেই দায়িত্ব পালনের জন্য ছুটে যেতে হয় তাকে।
তিনতলা ভবনে অফিসের প্রতিটি কক্ষ ও ফ্লোর ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করেন এ সময়। আর এই সুযোগে কাজের বাহানায় অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে একসময় জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন ওই প্রতিষ্ঠানের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকিট্রিক)। পরে তার হাতে পাঁচশ’ টাকা গুজে দিয়ে কড়াভাষায় জানিয়ে দেন, কাউকে বললে চাকরিচ্যুত করা হবে। এই ঘটনার পর লোভী প্রকৌশলী প্রায়ই তার লালসা চরিতার্থ করতে থাকেন।
দীর্ঘদিন এই অবস্থা চলার পাহাড়ি এই নারী তার কার্যালয়ের আর এক পাহাড়ি নারী কর্মচারীর সাথে বিষয়টি শেয়ার করেন। অফিস তত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকা মিসেস চৌধুরী তাকে অভয় দিয়ে বলেন, চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাও নিশ্চয়ই প্রতিকার পাবে। কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও কোনো ব্যবস্থা হয়নি ধর্ষকের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ভাইম চেয়ারম্যান জানান, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএইচডিবির অভিযুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না। যা জানার বোর্ড থেকে জানতে পারেন।